সাংবাদিকদের সামনে সুশীল মোদী। ছবি: পিটিআই।
বিহারের নতুন জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ তথা আরজেডিকে ছেড়ে কথা বলবেন না। ‘কথা’ রাখলেন সুশীল মোদী। শীঘ্রই ‘মাটি কেলেঙ্কারি’র সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার কথা বলে লালু-পুত্র তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে কার্যত হুঙ্কারই দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মাটি বিক্রির টাকাতেই আরজেডি চলে বলে সরাসরি অভিযোগ তুললেন সুশীল।
পটনায় মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুশীল বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল চলছে বেআইনি মাটি বিক্রির টাকায়। এই টাকাটাই আরজেডি-র আয়ের প্রধান জোগান।” এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে লালুপ্রসাদের পরিবারের গভীর সংযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এমনকী আগামী তিন দিনের মধ্যেই ‘মাটি কেলেঙ্কারি’র সমস্ত তথ্য প্রমাণ সামনে আনার আশ্বাসও দিয়েছেন সুশীল।
আরও পড়ুন: ৯০ লাখের মাটি বিক্রি করে সরকারের ঘরে এল ১০!
বিষয়টিকে অবশ্য একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি আরজেডি। দলের মুখপাত্র প্রগতি মেহতা এ দিন জানান, সুশীলের সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। শুধু তাই নয়, লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা সুশীল মোদীর পুরনো অভ্যাস বলেও কটাক্ষ করেন মেহতা। সুশীলের অভিযোগে কোন ধার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু সুশীলই নয়, এ দিন বিজেপিকেও এক হাত নিতে ছাড়েননি প্রগতি। বিজেপি শুধুই অম্বানী আর আদানিদের জন্য, আর আরজেডি গরীব মানুষদের জন্য, বলে মন্তব্য করেন মেহতা।
আরও পড়ুন: নীতীশের মন্ত্রিসভায় কি মাঁঝি?
গত এপ্রিলে ঘটনার সূত্রপাত। সেই সময়ই এক সাংবাদিক বৈঠক করে তেজপ্রতাপ যাদবের ‘মাটি কেলেঙ্কারি’র তথ্য ফাঁস করেছিলেন সুশীল। সেই সময় এক বার ‘মাটি কেলেঙ্কারি’র তদন্ত শুরুও হয়েছিল। কিন্তু রিপোর্টে জানানো হয়, মাটি বিক্রি নিয়ে কোনও রকম তছরুপ করেননি তেজপ্রতাপ।
তখনই হিসাবটা বাকি রেখেছিলেন সুশীল। বিহারে বিগত আরজেডি-জেডিইউ জোট সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি ক্ষুদ্র সেচ, বন ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তেজ। পালাবদলের পর বর্তমানে সেই বন দফতরের দায়িত্বেই মোদী। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবে এখন ‘মাটি কেলেঙ্কারি’কেই পাখির চোখ করে ময়দানে নামতে চাইছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নীতীশের বিরুদ্ধে আর্জি সুপ্রিম কোর্টে