রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের আপত্তি ও বিশেষজ্ঞদের নিষেধ উড়িয়ে চাংসারিতেই এইমস নির্মাণের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল রাজ্য। কিন্তু জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল ওই নির্মাণের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল।
মধ্য অসম এইমস দাবি সমিতির তরফে জলা জমি বুজিয়ে এইমস গড়ার প্রতিবাদ করে গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়। দাবির পক্ষে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় আদালতে। মামলার শুনানি পরে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল চাংসারিতে এইমস নির্মাণ স্থগিত রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট আটটি বিভাগের কর্তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে জিএমডিএ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, বন ও পরিবেশ দফতর তাদের হলফনামা জমা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, গুয়াহাটি উন্নয়ন দফতর তাদের হলফনামা এখনও দেয়নি।
চাংসারিতে এইমস স্থাপনের বিরোধিতা করা ইঞ্জিনিয়ার ও পরিবেশবিদ জে এন খাটানিয়া জানান, চাংসারি জলার ৫৭২ বিঘা জমিতে এইমস নির্মাণ করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। অনেক বন্যপ্রাণ ধ্বংস হবে। আইআইটি গুয়াহাটি, আমিনগাঁও ইনডোর স্টেডিয়াম জলে ডুববে। বিলের ২৩১ কোটি লিটার জল বের করলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিল বোজাতে দরকার হবে চার লক্ষ ট্রাক মাটি। তা সংগ্রহ করতে পাহাড় কাটা হবে। তাতেও নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।