গুগ্‌লই বলে দিচ্ছে কোথায় শৌচালয়

জিপিএস অন করে লিখলেন ‘স্বচ্ছ টয়লেট নিয়ার মি’। সঙ্গে সঙ্গে গুগ্‌ল ম্যাপে দেখিয়ে দিল কাতরাস মোড়ের কাছাকাছি কতগুলি শৌচালয় রয়েছে। এর পর অমলবাবুর শৌচালয় খুঁজে পেতে আর সমস্যা হয়নি।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৬
Share:

ধানবাদের কাতরাস মোড়ে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন মুখে এ দিক ও দিক দেখছিলেন অমল চক্রবর্তী। অফিসের কাজে এই প্রথম ধানবাদে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত এক পথচারীকে জিজ্ঞাসা করেই ফেললেন, কাছাকাছি শৌচালয় কোথায় আছে? মুহূর্ত ভাবলেন পথচারী ভদ্রলোক। তার পরেই তাঁর মোবাইল ফোনে খুলে ফেললেন গুগ্‌ল ম্যাপ। জিপিএস অন করে লিখলেন ‘স্বচ্ছ টয়লেট নিয়ার মি’। সঙ্গে সঙ্গে গুগ্‌ল ম্যাপে দেখিয়ে দিল কাতরাস মোড়ের কাছাকাছি কতগুলি শৌচালয় রয়েছে। এর পর অমলবাবুর শৌচালয় খুঁজে পেতে আর সমস্যা হয়নি।

Advertisement

ধানবাদের বাসিন্দারা এখন শহরের মধ্যে এ ভাবেই শৌচালয় খুঁজে নিচ্ছেন। দিন সাতেক আগে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। ধানবাদ পুর নিগমের কমিশনার রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত শহরের ১৪৩টি শৌচালয়কে এই পরিষেবার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে পুর শৌচালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বা সেল্ফ হেল্প গ্রুপের দ্বারা নির্মিত শৌচালয়ও আছে।’’

রাজীববাবুর দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে রাস্তায় পথচারীদের শৌচালয় ব্যবহার করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে।

Advertisement

গত বছর দেশের মধ্যে সবথেকে অপরিষ্কার শহরের তালিকায় নাম উঠেছিল ধানবাদের। সেই কলঙ্ক মোচনে উদ্যোগী হয় পুরসভা। যোগ দেন ধানবাদের মানুষও। শুধু হদিস দেওয়াই নয়, শৌচালয়ে গিয়ে যদি মনে হয় সেটি যথেষ্ট পরিষ্কার নয় তা হলে ‘ফিডব্যাক’ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ব্যবহারকারী যদি মনে করেন শৌচালয়টি পরিষ্কার, তা হলে ফিডব্যাকে গিয়ে সবুজ বোতাম টিপতে হবে।’ আর যদি মনে হয় পরিষ্কার নয়, তা হলে হলুদ ও খুবই অপরিচ্ছন্ন হলে লাল বোতাম টেপার সুযোগ রয়েছে। পুর কমিশনার জানান, ‘‘আমরা সেই ফিডব্যাক অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement