National News

দারুণ লাগত খেতে, পেট কেটে মিলল ৪০টা ছুরি

খান চল্লিশেক ছুরি গিলে ফেলেছেন। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। তা সত্ত্বেও দিব্যি মজা লাগছিল পঞ্জাবের এক পুলিশকর্মীর। মাস দু’য়েক ধরেই এমন ‘খাবার’ খাচ্ছেন। অবশেষে পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, শেষমেশ গত শুক্রবার অস্ত্রোপচার করে তা পেট থেকে বের করতে হয়। এমন কাণ্ড ঘটানোর পর তাঁর দাবি, ইচ্ছে করে নয়, আসলে কোনও অলৌকিক শক্তিই এ কাজ করতে তাঁকে বাধ্য করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ১৯:৩৬
Share:

পুলিশকর্মীর পেট থেকে এ ধরনের ছুরিই মিলেছে।

খান চল্লিশেক ছুরি গিলে ফেলেছেন। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। তা সত্ত্বেও দিব্যি মজা লাগছিল পঞ্জাবের এক পুলিশকর্মীর। মাস দু’য়েক ধরেই এমন ‘খাবার’ খাচ্ছেন। অবশেষে পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, শেষমেশ গত শুক্রবার অস্ত্রোপচার করে তা পেট থেকে বের করতে হয়। এমন কাণ্ড ঘটানোর পর তাঁর দাবি, ইচ্ছে করে নয়, আসলে কোনও অলৌকিক শক্তিই এ কাজ করতে তাঁকে বাধ্য করেছে।

Advertisement

৪২ বছরের ওই পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, গত জুন থেকেই ছুরি খাওয়া শুরু করেন তিনি। কেমন লাগত তা? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশকর্মী বলেন, “প্রথম যখন ছুরি গিলেছিলাম, সেই অনুভূতিটা বলার মতো নয়। খুবই ভাল লেগেছিল। ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়।” কিন্তু, সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁর পেট ফুলতে শুরু করেছিল। সেই সঙ্গে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অস্বস্তির কথা জানাতে তিনি তাঁকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন, তাঁর পেটে টিউমার হয়েছে। কিন্তু, এক্স-রে রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, একটা বড়সড় কালো অংশ রয়েছে পেটে। এর পরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট আসার পর ফের এক বার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ওই পুলিশকর্মীর পেটে রয়েছে অসংখ্য ছুরি। কোনও কোনওটা আবার কাঠের বাট-সহ ইঞ্চি ছয়েক লম্বা।

এই রিপোর্ট আসার পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি চিকিৎসকেরা। ঘণ্টা পাঁচেক ধরে অমৃতসরের এক হাসপাতালে দু’টি অস্ত্রোপচারের পর তাঁর পাকস্থলী থেকে বেরিয়েছে ছোটবড় খান চল্লিশেক ছুরি। হাসপাতালের এক চিকিৎসক রাজেন্দ্র রাজন বলেন, “অপারেশনের সময় যথেষ্ট রক্তপাত হচ্ছিল ওঁর। তবে পাকস্থলী থেকে সবক’টি ছুরিই বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।”

Advertisement

আপাতত সুস্থ থাকলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না ওই পুলিশকর্মী। ছুরি গেলার এই অভ্যাসের জন্য তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই বাড়ি ফিরতে পারবেন ওই পুলিশকর্মী।

আরও পড়ুন

পাসপোর্টে বাবার নাম থাকা আবশ্যিক নয়, নির্দেশ দিল্লি আদালতের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement