শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। হাইলাকান্দির তরুণ সঙ্ঘে। অমিত দাসের তোলা ছবি।
তরুণ সঙ্ঘের পুজো হাইলাকান্দির অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো। এই পুজোকে ‘ছোট শহরের বড় পুজো’ হিসেবেই মানুষ দেখে। তরুণ সঙ্ঘের পুজো নিয়ে বরাবরই আলোচনা চলে বরাক উপত্যকায়। প্রতিবারই নতুন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকে মানুষ। এ বারও তাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা রয়েছে। তারা কী করছে পুজোর আগেভাগেই তা জানতে আগ্রহী বরাকবাসী।
গত ক’বছর ধরেই পরিবেশের উপর জোর দিয়ে আসছেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। গত বছর তরুণ সংঘ-র মণ্ডপ ছিল বাঁশের তৈরি। আর মূর্তি ছিল পাতার। এবার ঠিক উল্টো। এ বছর বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হচ্ছে মূর্তি। আর হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছেন মেদিনীপুরের প্রতিমা-শিল্পী শিবু পাল। মূর্তি তৈরিতে বাঁশের চাটাই, কাঠের গুঁড়ো, পাট ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে।
হাইলাকান্দি শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডের স্থায়ী সঙ্ঘ-ভবনকে ঘিরেই গড়ে উঠছে ৬০ ফুট উঁচু মণ্ডপ। এই মণ্ডপের গায়ে থাকছে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত মন্দিরের স্থাপত্যকলা, ভাস্কর্য। নবদ্বীপের শিল্পী মতি ভৌমিক গড়ছেন এই আকর্ষণীয় মণ্ডপ।
তরুণ সঙ্ঘের পুজো এবার ৬৭ বছরে পা দিয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাদল পাল, পার্থ হালদাররা। এ বারও তাঁদের বিশ্বাস, এই পুজো উপত্যকাবাসীর নজর কাড়বেই। পুজো পরিচালন কমিটির সভাপতি দীপক চক্রবর্তী আর যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন ভুলন পাল ও তরুন পাল। তাঁরা জানান, মূর্তি ও মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জার উপরেও এ বার তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আলোকশিল্পী বিকাশ রায় জানান, এ বার আলোর মেলা বসবে তরুণ সঙ্ঘে। মণ্ডপে থাকবে তিনটি ‘শাওয়ার তোরণ’। সেই সঙ্গে ২০টি আলোর ফেস্টুন ও কল্কা বসানো হবে এলাকা জুড়ে। এরই পাশাপাশি, ব্রডগেজ ট্রেনের যাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পী এবার আলোর ধারায় ট্রেন চালাবেন। শিশুদের আনন্দ দানের জন্য শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা উঠে আসবে আলোর খেলায়। থাকবে শিশুদের পছন্দের বিভিন্ন কার্টুন-চরিত্র। উদ্যোক্তাদের আশা, এবারও তাঁরা উপত্যকাবাসীকে এই মণ্ডপে টেনে আনবেন।