—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ব্যক্তিগত মুহূর্ত বাদ দিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনও মহিলার সম্মতি ছাড়া তাঁর ছবি বা ভিডিয়ো তোলা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪সি ধারায় অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের শুরুতে কলকাতা হাই কোর্ট অভিযোগ খারিজ করতে না চাওয়ায় শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতার বিধাননগরের এক ব্যক্তি। বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহ ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ মঙ্গলবার তাঁকে অভিযোগের থেকে অব্যাহতি দিয়ে পর্যবেক্ষণে এইকথা জানিয়েছে।
বিধাননগরের বাড়ির মালিকানা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা ও তাঁর ভাইয়ের মধ্যে একটি পুরনো দেওয়ানি মামলা রয়েছে। তাতে কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, দু’পক্ষই যেন যৌথ দখল ধরে রাখেন ও তৃতীয় কোনও পক্ষের স্বার্থ জড়ানো না হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে মহিলা মামলা করেছিলেন, তিনি ছিলেন বাড়ির অন্য শরিকের ‘সম্ভাব্য ভাড়াটে’। তাঁর দাবি, এক জন বন্ধু ও শ্রমিকদের নিয়ে বাড়িটি দেখতে গেলে অভিযুক্ত হুমকি দেন এবং তাঁর সম্মতি ছাড়া ছবি আর ভিডিয়ো তুলে রাখেন।
শীর্ষ কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘ব্যক্তিগত মুহূর্তের’ ছবি তোলার প্রমাণ মেলেনি এফআইআর বা চার্জশিটে। কী বলে বা কী ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেই উল্লেখও নেই। ওই মহিলা অথবা তাঁর সঙ্গীরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই বিষয়ে জবানবন্দি দিতে চাননি। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারাও প্রযোজ্য হচ্ছে না। আর প্রবেশে বাধা দেওয়ার যে অভিযোগটি করা হয়েছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ধারায়, তা-ও খারিজ করে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা যে বাড়ির ভাড়াটে ছিলেন, তা প্রমাণিত নয়। সুতরাং সম্পত্তিতে তাঁর প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। বরং তাঁকে ভাড়াটে হিসেবে ধরলে তাতে নিম্ন আদালতের নির্দেশের খেলাপ হয়েছে বলেই মনে করতে হবে।
শীর্ষ কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, যে সমস্ত ক্ষেত্রে দেওয়ানি বিবাদ বিচারাধীন, সেখানে পুলিশ ও ফৌজদারি আদালতকে সতর্ক ভাবে পদক্ষেপ করতে হবে। সন্দেহ যখন দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়, সেখানে চার্জশিট দাখিল বা চার্জ গঠন বিচারব্যবস্থাকে ভারাক্রান্ত করে। সংবাদ সংস্থা
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে