এ বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল স্ট্যালিন সরকার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
কেন্দ্র বনাম রাজ্য। মোদী সরকার বনাম স্ট্যালিন সরকার। ‘ভাষাযুদ্ধে’ নেমে কেন্দ্রের ‘রোষে’ পড়ে ২১৫১ কোটি আটকে রয়েছে তাঁর সরকারের। এই অভিযোগ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল এমকে স্ট্যালিন সরকার। শীর্ষ আদালতে তামিলনাড়ু সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি তারা মানেনি বলে ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যের অর্থ আটকে রেখেছে তারা।
সমস্যার সূত্রপাত ২০২০ সালে। ওই বছর জাতীয় শিক্ষানীতি (নিউ এডুকেশন পলিসি) চালু করে কেন্দ্র। সেখানে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তিনটি করে ভাষা বাধ্যতামূলক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর কথা বলা হয়। অন্য দিকে, তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই দু’টি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক— ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষা। তিন ভাষা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে হিন্দি শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। স্ট্যালিনের অভিযোগ, জোর করে হিন্দি ভাষা চাপানো হচ্ছে অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপরে। তিনি ‘হিন্দি আগ্রাসনের’ বিরোধিতা করেন।
অন্য দিকে, তার পর থেকে শিক্ষাবিস্তারে তামিলনাড়ুকে আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এখন শীর্ষ আদালতে তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে, সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের প্রায় ২১৫১ কোটি টাকা বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। যার ফলে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তামিলভূমির কচিকাঁচারা। সুপ্রিম কোর্টে এ-ও জাননো হয়েছে, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের প্রকল্প অনুমোদন বোর্ড বৈঠকের পর জানিয়েছিল তারা তামিলনাড়ু সরকারের প্রয়োজন সম্পর্কে অবহিত। এবং বৈঠক ‘সফল’ হয়েছে। তার পর ২৫৮৫.৯৯ কোটি টাকা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়। ৬০ এবং ৪০ শতাংশ অনুপাতে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ২১৫১ কোটি টাকা। ওই অর্থ চলতি বছরের এপ্রিলে পাওয়ার কথা ছিল তামিলনাড়ু সরকারের। কিন্তু টাকা আসেনি।
সুপ্রিম কোর্টে তামিলনাড়ু সরকারের অভিযোগ, জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করার ফলেই কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি যাতে মেনে নেওয়া হয়, সে জন্য চাপে রাখা হচ্ছে তাদের।