রাজীব-খুনিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু

রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু সরকার। গত ২৭ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন ওই আসামিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু সরকার। গত ২৭ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন ওই আসামিরা। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তাঁদের মুক্তির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর পলানীস্বামী সরকারের দাবি, মানবিক কারণেই ওই আবেদন করেছে তারা। যদিও অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের আগে তামিল ভোটারদের বার্তা দিতেই এমন পরিকল্পিত পদক্ষেপ এডিএমকে সরকারের। বিরোধী ডিএমকে-ও সমর্থন করেছে এই সিদ্ধান্তকে। তবে বিরোধিতা করেছে রাজ্য কংগ্রেস।

Advertisement

টানা কুড়ি বছর ধরে জেলবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তামিলনাড়ু। ২০১৪ সালে রাজীব-হত্যাকারীদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। সুপ্রিম কোর্ট তখন বলেছিল, কেন্দ্রের ছাড়পত্র ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য। রাজীব-হত্যায় মূল অভিযুক্ত, প্রায় ২৭ বছর ধরে বন্দি নলিনী এর পরে মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রথমত, মুক্তি সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানায় হাইকোর্ট। দ্বিতীয়ত, নলিনীর মুক্তির আবেদনে আপত্তি জানায় কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকার বলে, হত্যার তদন্ত সিবিআই করছে। তাই কেন্দ্রের সম্মতি ছাড়া একতরফা মুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য সরকার।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারায় রাজ্যপালের কাছে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন ওই মামলায় আর এক দোষী, বন্দি পেরারিবালন। বিষয়টি ফের যায় সুপ্রিম কোর্টে। গত সপ্তাহেই শীর্ষ আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যপালকে পরামর্শ দেয়। তার সূত্র ধরে ওই মামলায় বন্দি বাকি ছয় বন্দিরও মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আজ বৈঠকে বসে তামিলনাড়ুর রাজ্য মন্ত্রিসভা। মৎস্যমন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেন, ‘‘আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। রাজীব হত্যা মামলায় দোষী সাত জনকেই মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এর পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন