ফাইল চিত্র।
প্রবল বিক্ষোভের জেরে ঔরঙ্গাবাদের চিকাল থানা বিমানবন্দরে নামার পরই মুম্বইয়ে ফেরত পাঠানো হল তসলিমা নাসরিনকে।
ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বই থেকে বিমানে চেপে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ চিকাল থানা বিমানবন্দরে নামেন লেখিকা। সে সময় বিমান বন্দরের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় কয়েকশো বিক্ষোভকারী। তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে ‘তসলিমা ফিরে যাও’ স্লোগান দিতে থাকেন। এমতাবস্থায় লেখিকা বিমানবন্দরের বাইরে বের হতে চাইলে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। তসলিমাকে মুম্বই ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। তাঁদের কথা মেনে নেন লেখিকা।
আরও পড়ুন: দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে জিএসটি, মন কি বাতে মোদী
ঔরাঙ্গবাদ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) রাহুল শ্রীরাম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে বলেন, ‘‘মধ্য মহারাষ্ট্রে আইন ও শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা এড়াতেই নাসরিনকে পরবর্তী বিমানেই মুম্বই ফেরত পাঠানো হয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ঔরঙ্গাবাদে তিন দিন ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তসলিমার। তিনি অজিন্ঠা এবং ইলোরাতে ঘুরতে যাবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। সেই কারণে ঔরঙ্গাবাদের একটি হস্টেলে দু’টি রুম বুক করাও ছিল। শনিবার বিকেল থেকে ওই হস্টেলের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এক দল। এই গোটা বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের নেতা ইমতিয়াজ জলিল। যিনি ঔরঙ্গাবাদ সেন্ট্রাল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও। ইমতিয়াজদের কথা, ‘‘তাঁর (তসলিমার) লেখা গোটা বিশ্বের মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। তাই আমরা শহরের মাটিতে তাঁকে পা ফেলতে দেব না।’’
গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। সুইডেনের বাসিন্দা এই লেখিকা ২০০৪ সাল থেকে ভারতে থাকার জন্য ভিসায় অনুমোদন পেয়ে আসছেন।