লোকসভায় সরকার পক্ষের সাংসদরা সমর্থন করছেন আয়কর সংশোধনী বিল। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় পাশ হয়ে গেল কর সংশোধনী বিল। হিসাব বহির্ভূত আয়ের ৭৫ শতাংশ কর ও সারচার্জ হিসেবে কেটে নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা করতেই এই বিল এনেছে সরকার। ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষিত হওয়ার পর থেকে যে সব অঘোষিত আয় বা অঘোষিত বিনিয়োগের তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে, সেই সব হিসাব বহির্ভূত সম্পদের ৬০ শতাংশ কর হিসেবে এবং এবং আরও ১৫ শতাংশ সারচার্জ হিসেবে কেটে নেওয়া হবে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সিদ্ধান্তের রূপায়ণেই কর আইনের এই সংশোধনী পেশ করা হয়েছে।
বিলটি পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, কালো টাকা শেষ করতে এটি আরও একটি বড় পদক্ষেপ। ‘কর আরোপ আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল ২০১৬’ নামের এই বিলে বলা হয়েছে, ৮ নভেম্বরের পর থেকে যাঁদের অঘোষিত সম্পত্তির হিসেব সামনে এসেছে, তাঁদের সেই সব অঘোষিত সম্পত্তি বা অঘোষিত আয়ের ৬০ শতাংশকেই কর হিসেবে সরকার কেটে নেবে। করের অঙ্কের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ মোট অঘোষিত আয়ের আরও ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে সারচার্জ হিসেবে। অর্থাৎ এত দিন অঘোষিত ছিল যে সম্পত্তি বা আয়, কর ও সারচার্জ বাবদ তার ৭৫ শতাংশই নিয়ে নেবে সরকার।
বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মাঝেই মঙ্গলবার বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল, আগে মুলতুবি প্রস্তাব অনুযায়ী নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তার পর বিল নিয়ে আলোচনা হবে। তাতে সরকার পক্ষ রাজি হয়নি। এর পর তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, নোট সঙ্কট নিয়ে আলোচনা এবং বিল নিয়ে বিতর্ক এক সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হোক। স্পিকার সুমিত্রা মহাজন সে প্রস্তাব মানেননি। অবশেষে বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মাঝেই সরকার পক্ষ ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ করিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: দলের সাংসদ-বিধায়কদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ মোদীর
এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ করাতে হবে। তবেই সেটি আইন হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু রাজ্যসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই কর আরোপ আইনের এই সংশোধনী রাজ্যসভায় পাশ হবে কি না, সে নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।