Sangli Death

পরীক্ষায় কম নম্বর, মহারাষ্ট্রে সারা রাত ধরে মেয়েকে মারধর বাবার! অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু

নিহত কিশোরীর নাম সাধনা ভোসলে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার বাসিন্দা সাধনা ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। চলতি বছরেই নিট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার। কিন্তু মক পরীক্ষাগুলির একটিতেও আশানুরূপ ফল করতে পারছিল না দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৪:৩২
Share:

নিহত সাধনা ভোঁসলে। ছবি: সংগৃহীত।

পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিল মেয়ে। সেই ‘অপরাধে’ মেয়েকে নির্মম ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে ঘটনাটি ঘটেছে। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর।

Advertisement

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিহত কিশোরীর নাম সাধনা ভোসলে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার আটপাডি তালুকের অন্তর্গত নেলকারঞ্জি গ্রামের বাসিন্দা সাধনা ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। চলতি বছরেই নিট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার। কিন্তু মক পরীক্ষাগুলির একটিতেও আশানুরূপ ফল করতে পারছিল না দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। এতে সাধনার স্কুলশিক্ষক বাবা ধোন্দিরাম ভোসলে রেগে যান। অভিযোগ, মেয়েকে প্রশ্ন করলে সে পাল্টা উত্তর দেয়, ‘‘তুমিও তো কম নম্বর পেয়েছিলে’’! এতেই আরও রেগে যান বাবা। লাঠি নিয়ে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে দেন তিনি। অভিযোগ, স্ত্রী বাধা দিতে এলেও তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি ধোন্দিরাম। বরং স্ত্রীকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে মেয়েকে রাতভর মারধর করেন তিনি। প্রবল মারধরের জেরে জ্ঞান হারায় সাধনা।

পর দিন সকালে উঠে স্কুলে রওনা দেওয়ার সময় বাবা দেখেন, মেয়ে তখনও অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছে। ভয় পেয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। সাঙ্গলির একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয় সাধনাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধোন্দিরামের দাবি, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে তাঁর মেয়ে। অথচ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, কিশোরীর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্তর্বর্তী রক্তক্ষরণের জেরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement