ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায় হতচকিত দিল্লি। —প্রতীকী ছবি।
আবার দিল্লি, আবার চলন্ত বাস, আবার ভয়ঙ্কর ঘটনা। মোবাইল চুরি যাওয়া নিয়ে বাদানুবাদে চলন্ত বাসে সর্বসমক্ষে আচমকা এক যুবকের গলা কেটে দিল একদল স্কুলপড়ুয়া কিশোর! বিনা বাধায় বাস থেকে নেমেও গেল তারা। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত যাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি অভিযুক্ত স্কুলপড়ুয়াদের। তবে ১৫টি স্কুলকে চিহ্নিত করে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে যুবক খুন হয়েছেন, তাঁর বয়স ২৫-এর আশেপাশে। লাজপতনগর থেকে তিনি বদরপুরগামী বাসটিতে উঠেছিলেন। এর পরে আশ্রম চক থেকে বাসে ওঠে পাঁচ-ছ’জন কিশোর। প্রত্যেকের পরনেই ছিল স্কুল ইউনিফর্ম। বয়স ১৩ থেকে ১৬-র মধ্যে। লাজপতনগর থেকে ওঠা যুবকের সঙ্গে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই স্কুলপড়ুয়াদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়।
‘‘আক্রান্ত ব্যক্তি অভিযোগ করছিলেন যে, ওই কিশোররা তাঁর মোবাইল চুরি করেছে। তাতেই বচসা শুরু হয়। এর পর এক কিশোর ওই ব্যক্তির গলা কেটে দেয়।’’ বলেছেন দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রোমিল বানিয়া।
আরও পড়ুন: পদ্মাবতী বিতর্ক: এ বার জয়পুরের দুর্গে মিলল যুবকের ঝুলন্ত দেহ
ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটানোর পর স্কুলপড়ুয়া কিশোররা বাসচালককে ভয় দেখিয়ে বাস থামায় এবং সদলবলে নেমে যায়। আক্রান্ত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তিনি মৃত।
আরও পড়ুন: স্যালুট নিল না দাঁতাল, পিষে মারল রক্ষীকে
ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে গিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সকলেই। অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। যে অস্ত্র দিয়ে যুবকের গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে, তার খোঁজও মেলেনি। তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল ইউনিফর্মের বিবরণ জেনে লাজপতনগর এবং মথুরা রোড এলাকায় মোট ১৫টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্কুলগুলির স্টুডেন্টস রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে।