অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করাতে গিয়ে ব্রেন ‘ড্যামেজ’ হল এক স্কুল ছাত্রীর। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাস দুয়েক ধরে ধর্ষণ করত তার স্কুলের এক শিক্ষক ও ডিরেক্টর। রাজস্থানের সিকার শহরের ওই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বিনীত কুমার জানিয়েছেন, ক্লাস শেষ হয়ে গেলেও কোনও না কোনও অজুহাতে ১৮ বছরের ওই কিশোরীকে স্কুলে থেকে যেতে বলা হত। এর পর ওই ফাঁকা স্কুল ঘরেই দিনের পর দিন তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করত স্কুলের শিক্ষক জগৎ গুজ্জর-সহ ডিরেক্টর জগদীশ যাদব। মাস দুয়েক ধরেই এ ভাবে চলার পর ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে গর্ভপাত করাতে বলে ওই দু’জন। সে জন্য কিশোরীকে শহর থেকে কিছুটা দূরে একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়েও যায় তারা। সেখানেই গর্ভপাত করানো হয় তাঁর।
আরও পড়ুন
হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত আস্থা ভোট স্থগিত তামিলনাড়ুতে
প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল মুম্বই!
ঘটনার পর কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জয়পুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় তাঁর পরিবার। গত রবিবার সেখানেই অস্ত্রোপচারের সময় ব্রেন ড্যামেজ হয় ওই কিশোরীর। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই এর পর কিশোরীর বাড়িতে গর্ভপাতের বিষয়টি জানান।। হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট ডি এস মীনা বলেন, “মেয়েটির দু’বার অপারেশন করানো হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবেই ব্রেন ড্যামেজ হয়েছে তাঁর। মনে হচ্ছে, চির দিনের জন্যই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।”
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে সামিল হন তাঁদের অভিভাবকেরাও। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই দু’জনের শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই স্কুল শিক্ষক জগৎ গুজ্জর ও ওই স্কুলের ডিরেক্টর জগদীশ যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই স্কুলের অন্য ছাত্রীরাও এ ধরনের অত্যাচারের শিকার কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে রাজস্থানের মহিলা কমিশন। ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ওই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার জন্যই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা যায়নি।
বিনীত কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারির পাশাপাশি ওই ক্লিনিকেও অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানকার সমস্ত রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।