কানহাইয়াকে জমি ছাড়তে রাজি নন তেজস্বী

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে বিহারে বেগুসরাইয়ের লোকসভা আসনটি ছাড়তে চাইছেন না বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৭
Share:

তেজস্বী যাদব ও কানহাইয়া কুমার

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে বিহারে বেগুসরাইয়ের লোকসভা আসনটি ছাড়তে চাইছেন না বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনই এ নিয়ে মুখ না খুলতে দলীয় মুখপাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কানহাইয়া প্রসঙ্গে আপাতত চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরজেডি। সিপিআই নেতারা অবশ্য রাজ্য স্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কানহাইয়াকে বেগুসরাইয়েই দাঁড় করানো হবে। সিপিআই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।

Advertisement

রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, কানহাইয়ার জনপ্রিয়তাকে কিছুটা হলেও ভয় পাচ্ছেন তেজস্বী। আপাতত বিজেপি-বিরোধী জোটের কথা বললেও রাজ্যের নেতৃত্ব নিজের হাতেই রাখতে চান তিনি। সে কারণে কানহাইয়াকে বিহার থেকে উঠতে দিতে চান না তেজস্বী। পাশাপাশি কানহাইয়া ভূমিহার সম্প্রদায়ের লোক। উচ্চ বর্ণের নেতা হিসেবে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে দ্রুত উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। তাতেই প্রমাদ গুনেছেন আরজেডি নেতৃত্ব। আরজেডি নেতারা বলছেন, অনগ্রসর শ্রেণির সমর্থন পাবেন না কানহাইয়া।

এ সব বিতর্ক এড়িয়ে কানহাইয়া অবশ্য বলছেন, “দলের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করব। বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।” আপাতত সকলে লক্ষ্য রাখছেন লালুপ্রসাদের সিদ্ধান্তের দিকে।

Advertisement

জেএনইউ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরে পটনা এসে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কানহাইয়া। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন আরজেডি সভাপতিকে। সেই সময় থেকেই বেগুসরাইয়ে এই ছাত্রনেতার রাজনৈতিক সম্ভাবনার কথা জল্পনায় উঠে আসে। তাঁর হাত ধরে বিহারে ফের নিজেদের রাজনৈতিক সম্ভাবনা দেখতে শুরু করেছে সিপিআই। রাজ্য জুড়ে একের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে হাজির থাকতে শুরু করেছেন কানহাইয়া।

পরিস্থিতি বুঝে বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোটের কাছে লোকসভা নির্বাচনে ছ’টি আসন দাবি করে সিপিআই। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ আরজেডি। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে মহাজোট চাইলেও সিপিআইকে ছ’টি আসন ছাড়তে রাজি নয় তারা। তেজস্বীর দলের সাফ কথা, একা লড়ে সিপিআই কোনও পার্থক্য গড়তে পারবে না। কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্য জুড়ে কানহাইয়ার একের পর এক কর্মসূচি দেখে টনক নড়েছে আরজেডির। বুঝতে পারছে, বিরোধী ভোটে ভাগ বসাতে তৎপর হয়েছে সিপিআই। বিহারে তাদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার আশায় চনমনে হয়ে উঠছে তাদের সংগঠন।

সম্প্রতি পটনা এইমসে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকে দেখতে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন কানহাইয়া। থানায় এফআইআর দায়ের হয়। তবে সে ঘটনায় আরজেডি কানহাইয়ার সমর্থনে নামেনি। সব বিষয়ে টুইট করলেও তেজস্বী এ নিয়ে নীরব থেকে যান। একই ভাবে বেগুসরাইয়ে বজরং দলের কর্মীরা কানহাইয়ার কনভয়ে হামলা চালালেও সে ভাবে তার বিরোধিতা করেনি আরজেডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন