সরকারি অনুষ্ঠানে তেজস্বীর অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনা তৈরি করল।— ফাইল চিত্র।
জেডিইউ পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রবিবার সেই বৈঠক। সেখানে তেজস্বী যাদবকে নিয়ে তাঁদের দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার ঠিক এক দিন আগেই নীতীশকে এড়িয়ে গেলেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। শনিবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর। নীতীশ অনুষ্ঠানে এলেও সেখানে যাননি লালু-পুত্র তেজস্বী।
রাজ্যের যুবকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত বছর ‘কুশল যুব কার্যক্রম’ নামে এক কর্মসূচি চালু করে নীতীশ সরকার। শনিবার সেই কর্মসূচির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পটনার জ্ঞান ভবনে সেই সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানে আসেননি তেজস্বী। যদিও, এ দিনের অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি জেডিইউ বা আরজেডি কোনও পক্ষই।
আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিজনদের বাড়িতে সিবিআই হানার পর থেকেই বিহারে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একটি শিবির। এফআইআর-এ লালুর ছোট ছেলে তেজস্বীর নাম থাকায়, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর থেকে যাওয়ার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কী চাইছেন, তা নিয়েও নানা জল্পনা পটনার রাজনৈতিক অলিন্দে। তবে এত কিছুর মধ্যেও বিহারের শাসক জোটের বৃহত্তম শরিক আরজেডি খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, দল তেজস্বীর পাশেই।
আরও পড়ুন: মহাজোট বাঁচাতে মরিয়া সনিয়ার ফোন নীতীশদের
অন্য দিকে, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস তারা করবে না জানিয়ে তেজস্বীকে চার দিন সময় দিয়েছিল জেডিইউ। গত বুধবার নীতীশ কুমারের পৌরোহিত্যে দলীয় নেতাদের বৈঠকের পর তেজস্বী বা আরজেডির নাম না করেই জেডিইউ নেতারা সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতির সঙ্গে জেডিইউ আপস করবে না। এটা দলের ভাবমূর্তির প্রশ্ন। সুতরাং যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে চার দিনের সময় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে তিনি যেন নিজেই এগিয়ে আসেন এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবারই সেই হিসাবে শেষ হচ্ছে চার দিনের সময় সীমা। তার আগের দিন এ ভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে তেজস্বীর অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনা তৈরি করল।