উত্তেজনা ভারত-চিন সীমান্তেও

দিল্লির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার অবশ্য দাবি, সিকিম, ভুটান ও তিব্বতের সীমান্তে থাকা ডোকা লা (পাস বা গিরিপথ) পেরিয়ে পিএলএ-র সেনারা ভারতে ঢুকে পড়ে। ভারতীয় বাঙ্কার দু’টি ভাঙার পরে তারা আরও ভিতরে ঢোকার তোড়জোড় করছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ০৪:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র।

ফের উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সিকিমের লালটেন পোস্ট এলাকায় ঢুকে ভারতীয় সেনার অস্থায়ী দু’টি বাঙ্কার ভেঙে দিয়ে চলে যায়। তার পর থেকেই গত দশ দিন ধরে দু’পক্ষের টানাপড়েন চলছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায় এবং দিল্লির কূটনীতিক মহলে। তবে কলকাতায় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর থেকে এমন কোনও সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement

দিল্লির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার অবশ্য দাবি, সিকিম, ভুটান ও তিব্বতের সীমান্তে থাকা ডোকা লা (পাস বা গিরিপথ) পেরিয়ে পিএলএ-র সেনারা ভারতে ঢুকে পড়ে। ভারতীয় বাঙ্কার দু’টি ভাঙার পরে তারা আরও ভিতরে ঢোকার তোড়জোড় করছিল। তাদের থামাতে হিমশিম খান ভারতীয় সেনারা। শেষ পর্যন্ত মানবশৃঙ্খল তৈরি করে আটকানো হয় চিনা বাহিনীকে। পরে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রেন গুয়োকিয়াং দাবি করেন, ‘‘আমরা নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা বানাচ্ছিলাম। ভারতীয় সেনারাই এলাকায় ঢুকে পড়ে।’’

উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের সেনা কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। গোড়ায় ভারতের দেওয়া বৈঠকের প্রস্তাব চিন খারিজ করে দেয় বলেও খবর। শেষ পর্যন্ত ২০ তারিখ ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে চিনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, নাথু লা দিয়ে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রার অনুমতি আপাতত দেওয়া হচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে এই পথে কৈলাস-যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ বছর চিন জানায়, তিব্বতে সেতু ভেঙে পড়ায় বাসে করে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন