নোট বাতিলের ধাক্কায় মেঘালয়ে সন্ত্রাস ধাক্কা খেয়েছিল। কমেছিল অপহরণ ও তোলাবাজি। এ বার নোট বাতিলের জেরে ভেঙেই গেল গারো পাহাড়ের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অসন্তোষ ও পুরনো টাকা ভাঙাতে না পেরে দল ছাড়ছে জঙ্গি নেতারা। আজ দলের মাথা সোহন ডি শিরার সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করল জিএনএলএর দ্বিতীয় প্রধান নেতা নিকাম সি মোমিন বা বাইচুং।
২০০৯ সালে এএনভিসি ছেড়ে সোহন ডি শিরার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জিএনএলএ তৈরি করেছিল বাইচুং। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ ও পশ্চিম গারো পাহাড়ে সন্ত্রাস চলছিল। তোলাবাজি, হত্যার বহু ঘটনায় তাকে খুঁজছিল পুলিশ। অনেকবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণে বেঁচেছে সে। সম্প্রতি দাবালগ্রেতে জিএনএলএ শিবিরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বাইচুংয়ের দুই সঙ্গী মারা গেলেও বাইচুং পালায়।
টাকা জোগাড়ের মূল দায়িত্ব সোহন বাইচুংকেই দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, নোট বাতিলের পরে বাইচুংদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। কয়েক দফায় ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের মাধ্যমে বাতিল টাকা ব্যাঙ্কে জমা করাতে গিয়েও বিফল হয় তারা। দু’দফায় তাদের ৩৫ লক্ষ ও ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। এ দিকে, দলের কর্মীদের চাপ দিয়ে যত খুচরো টাকার নোট ও ২০০০ টাকা জমা নিয়ে নিয়েছিল সোহন। বাইচুংয়ের হাতে টাকাই ছিল না। তাই পুলিশকে আত্মসমর্পণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে খবর পাঠায় সে। মধ্যস্থতা করে ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধি।
দক্ষিণ গারো হিলের এসপি আনন্দ মিশ্র জানান, আজ সকালে বাইচুং তার হেকলার অ্যান্ড কোচ-৩৩ সাব মেশিনগান, ১২০ রাউন্ড গুলি, ২টি মোবাইল-সহ চোকপট থানায় পুলিশের হাতে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। সঙ্গে ছিল তার স্ত্রী ও পুত্র। হাজির ছিলেন গির্জার যাজকরাও।