জঙ্গি হানা কাশ্মীরে

পঠানকোট নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পঠানকোট কাণ্ড নিয়ে নতুন করে অস্বস্তির মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত কালই এনআইএ প্রধান শরদ কুমার জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সরকার বা সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পঠানকোটে বায়ু সেনা ঘাঁটির হামলার পিছনে নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০৩:৫৭
Share:

পঠানকোট কাণ্ড নিয়ে নতুন করে অস্বস্তির মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

গত কালই এনআইএ প্রধান শরদ কুমার জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সরকার বা সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পঠানকোটে বায়ু সেনা ঘাঁটির হামলার পিছনে নেই। ওই মন্তব্য সংবাদ মাধ্যমে আসতেই পিছু হটলেন শরদ। তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে— এই যুক্তি দেখিয়ে শরদ আজ বলেন, তিনি বলতে চেয়েছিলেন তদন্তে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের সরকারি সংস্থার জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শরদের কথায়, ‘‘তদন্ত চলছে। আমরা কোনও পক্ষকেই ক্লিন চিট দিইনি। সব পক্ষের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার মধ্যে সে দেশের স্টেট অ্যাক্টরও রয়েছে।’’ যদিও সেই সরকারি সংস্থাগুলি কোনটি, তা নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিতে চাননি এনআইএ প্রধান।

তবে এনআইএ-প্রধানের বক্তব্য নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় অস্বস্তিতে সাউথ ব্লক। ধোঁয়াশা কাটাতে বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ঘটনায় যে পাকিস্তানি নাগরিকরা জড়িত, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিদেশসচিব পাকিস্তানের বিদেশসচিবকেও অবহিত করেছেন। ভারত ইসলামাবাদের হাতে একাধিক প্রমাণ তুলে দিয়েছে যাতে পাক প্রশাসন সে দেশে বসে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কোনও কিছু অনুমান করাটা ঠিক নয়।

Advertisement

এই বিতর্কের মধ্যেই ফের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অনন্তনাগ জেলার দক্ষিণে বিজবেহারা শহরে বিএসএফের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় একদল জঙ্গি। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা একটি হাসপাতালে লুকিয়ে ছিল। বিএসএফের কনভয় যেতেই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি শুরু করে দেয় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বিএসএফের দু’জওয়ান। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আর এক জনের। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, জঙ্গিরা হিজবুল মুজাহিদিন সংগঠনের। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে জঙ্গিরা একটি গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন