Encounter

শোপিয়ানে সংঘর্ষে খতম ১ জঙ্গি, এখনও লুকিয়ে ২, চলছে গুলির লড়াই

শোপিয়ানের রাওয়ালপোড়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত জঙ্গির কাছে একটি এম৪ রাইফেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৪
Share:

শোপিয়ানে পুলিশি তল্লাশি।

জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তার কাছে একটি এম৪ রাইফেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেখানে লুকিয়ে রয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের সঙ্গে এখনও সংঘর্ষ চলছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শোপিয়ানের রাওয়ালপোড়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে রাওয়ালপোড়ায় কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। খবর পেয়েই এলাকা ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) ও কাশ্মীর পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি।

সেনা সূত্রে খবর, কোন বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে তা জানার জন্য পাঁচজন গ্রামবাসীর সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু সেই পাঁচজনকে বন্দি করে নেয় জঙ্গিরা। ফলে সংঘর্ষ শুরুর আগেই কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে শুরু হয় গুলির লড়াই। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পরে খতম হয় এক জঙ্গি। বাকি দু’জন এখনও বাড়ির মধ্যে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই দু’জন ছাড়া আর কোনও জঙ্গি সেখানে লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তারা।

Advertisement

কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এনকাউন্টার শুরুর আগে পাঁচ গ্রামবাসীকেই বের করে আনা হয়। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কেউ হতাহত হয়নি বলেই খবর।

এদিকে শনিবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শোপিয়ানে নাকাচেকিং চলাকালীন ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তল্লাশি চলাকালীন ২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি একে-৪৭ ও ১০৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

শোপিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে জঙ্গি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে ওই ৭ জন। তাদের নাম সামিউল্লাহ ফারুখ চোপান, হিলাল আহমেদ ওয়ানি, রামিজ ওয়ানি, রউফ আহমেদ ওয়ানি, জাহিদ হুসেন ওয়ানি, ফয়জান আহমেদ খান ও শাহিদ আহমেদ। তাদের মধ্যে সামিউল্লাহর বাড়ি মীমেনদার, হিলাল, রামিজ, রউফ ও জাহিদ থাকে দাচিপোরায় এবং ফয়জান ও শাহিদ বেহিলের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইনের ১৩, ১৮, ২০, ২৩ ও ৩৮ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন