উত্তর কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে হামলার পরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু তাতে যে পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা মোটেই দমে যায়নি ফের তার প্রমাণ মিলল। আজ উরিতেই সেনাঘাঁটির কাছে তিন ফিদায়েঁ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। গত বছরের কায়দায় উরির অন্য একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করাই তাদের লক্ষ্য ছিল বলে ধারণা সেনার।
গত কাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ উরির একটি সেনাঘাঁটি থেকে ২০০ গজ দূরে তিন জঙ্গিকে দেখতে পায় সেনার টহলদারি দল। কালগাই গ্রামের কাছে ওই এলাকায় গভীর জঙ্গল। সেনা জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ করায় গুলির লড়াই শুরু হয়। স্থানীয় চারটি পরিবার দু’পক্ষের লড়াইয়ের মধ্যে আটকে পড়ে।
সেনা জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনহানি এড়াতে সাবধানে এগিয়েছে বাহিনী। রাতে সেনাঘাঁটির চারপাশে কর্ডন করে জঙ্গিদের ঢুকে পড়া আটকানো হয়। ভোরে আটকে পড়া চারটি পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায় বাহিনী।
এর পরে পুরোদমে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু হয়। কয়েকশো সেনার পাশাপাশি নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টারও। সন্ধের মধ্যেই খতম হয় তিন জঙ্গি। সেনার ধারণা, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদের সদস্য। গত বছরের হামলাতেও জইশই যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, বারামুলারই সোপোরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সামনে গ্রেনেড হামলায় তিন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের পাশে সিআরপিএফের একটি শিবিরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এক সতর্ক পুলিশকর্মী গ্রেনেডটি গ্রেনেডটি বাইরে ছুড়ে ফেলে না দিলে আরও অনেকে হতাহত হতেন। কুপওয়ারায় জঙ্গিদের একটি আস্তানায় হানা দিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী।