মন্দিরে ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত

মন্দির যেন পুরো দুর্গ! শয়ে শয়ে পুলিশ, সশস্ত্র কম্যান্ডো, নজরদারি ক্যামেরা— অভাব নেই কিছুরই। মন্দির চত্বরে জ্যামার বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে গত মাসের পরে আজ কেরলের শবরীমালা মন্দির খোলার পরে তার চেহারা ছিল কার্যত দুর্গের মতোই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শবরীমালা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২০
Share:

শবরীমালা মন্দির চত্বর। ছবি- পিটিআই।

মন্দির যেন পুরো দুর্গ! শয়ে শয়ে পুলিশ, সশস্ত্র কম্যান্ডো, নজরদারি ক্যামেরা— অভাব নেই কিছুরই। মন্দির চত্বরে জ্যামার বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে গত মাসের পরে আজ কেরলের শবরীমালা মন্দির খোলার পরে তার চেহারা ছিল কার্যত দুর্গের মতোই। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এখানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও।

Advertisement

মন্দির খোলার আগে কেরালা হাইকোর্ট আজ রাজ্য সরকারকে বলেছে, শবরীমালার দৈনন্দিন ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার নেই তাদের। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই সরকারের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ। সোমবার মন্দির সংলগ্ন এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে সরকার ও পুলিশের উপরেও ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। দর্শনার্থীদের অনেকেরই অভিযোগ, এই ‘বাড়াবাড়িতে’ যথেষ্ট অসুবিধেয় পড়তে হয়েছে তাঁদের।

সব বয়সি মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সায়ের পরেও গত মাসে একের পর এক বিক্ষোভ ছায়া ফেলেছে এই মন্দিরে। সোমবার সন্ধেয় পুজোর আগে তাই নজিরবিহীন নিরাপত্তা ছিল। ২৩০০ পুলিশ, ২০ সদস্যের কম্যান্ডো বাহিনী ছাড়াও ৫০-এর বেশি বয়সি ১৫ জন মহিলা পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করা হয়। জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছে ভক্তরা।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় এরুমেলি পর্যন্ত পৌঁছয় এক দল তীর্থযাত্রী। কিন্তু আজ সকালে পাম্বার দিকে এগোতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। মূল বিগ্রহের কাছে যেতে ওই পথেই যেতে হয়। আর এক দলের দাবি, পাম্বায় যেতে বাসে ওঠার পরে মহিলা-পুলিশের দল তাঁদের থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চায়। পুলিশি প্রহরায় আজ এগিয়ে যান কয়েক জন মহিলা সাংবাদিকও। তবে পুলিশই আবার প্রধান পুরোহিতকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে দেয়নি বলে অভিযোগ।

শবরীমালায় বিক্ষোভে জড়িয়ে গত মাসে গ্রেফতার হন ৩৭৩১ জন। রুজু হয়েছে ৫৪৫টি মামলা। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ১০-৫০ বছর বয়সি কোনও ঋতুমতী মহিলাকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্যতিক্রম ঘটেনি সোমবারেও। তবে এ দিন অঞ্জু নামে ৩০ বছরের এক মহিলা স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে পাম্বা বেস ক্যাম্প পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। যদিও মহিলার দাবি, স্বামীর চাপেই তিনি গিয়েছেন।

কেরল বিজেপির সভাপতি পি এস শ্রীধরন পিল্লাই এই নিয়ে আজ ফের বিতর্ক তৈরি করে বলেন, ‘‘১০-৫০ বছরের মহিলারা ফের প্রবেশের চেষ্টা করলে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে— তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেন প্রধান পুরোহিত।’’ গত কাল তিনি বলেছিলেন, বিজেপিই পরিকল্পনা করে গত মাসের বিক্ষোভ কার্যকর করেছে। এ দিন পিল্লাইয়ের এই মন্তব্যের ভিডিয়ো প্রকাশের পরে তাঁর সমালোচনা করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন