ছবি: সংগৃহীত।
কে ঠিক? শিক্ষামন্ত্রী, নাকি শিক্ষাব্যবস্থা? ওই শিক্ষামন্ত্রীর বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা, নাকি বিজ্ঞান? রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বাসুদেব দেবনানির এক মন্তব্য এ সবের পাশাপাশি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলল।
কী বলেছেন রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী?
গরুর বিজ্ঞানসম্মত গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘গরু একমাত্র প্রাণী, যারা শ্বাসকার্যের সময় বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। আবার নিশ্বাস হিসেবে সেই অক্সিজেনই বাতাসে ত্যাগ করে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসাবে এমন অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য তিনি কী করে করেন?
আরও পড়ুন
মঞ্চের সামনেই তরুণীর যৌন হেনস্থা, গান থামিয়ে উদ্ধার করলেন আতিফ
এখানেই থেমে থাকেননি মন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গরু সম্পর্কে এই বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা সকলের বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে সে বার্তা পৌঁছনও অত্যন্ত দরকারি।
হঠাত্ এমন মন্তব্য করলেন কেন বাসুদেব?
রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা ২০০৬-এ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী গ্রিন হাউস গ্যাস উত্পাদনের ক্ষেত্রে গৃহপালিত পশুর যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। তাদের পাচনতন্ত্র মিথেন-সহ এমন সব গ্যাস তৈরি করে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গত শনিবার একটি আলোচনাসভায় এই প্রসঙ্গে তুলে বাসুদেব ওই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন
সেলুনে মেয়ের বাবার ‘চুল-দাড়ি ফ্রি’!
শিক্ষামন্ত্রীর ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সরব হন শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। তাঁদের মতে, এক জন শিক্ষামন্ত্রী কী ভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন? ছোটবেলা থেকেই শিশুদের এ ব্যাপারে পাঠ দেওয়া হয়। প্রাণীজগত্ শ্বাসকার্যের সময় বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ত্যাগ করে। সেখানে প্রাণী জগতের সদস্য হয়েও গরু কী ভাবে অক্সিজেন গ্রহণ এবং বর্জন করতে পারে? এক শিক্ষাবিদ তো প্রশ্নই তুলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী কোন স্কুলে জীবন বিজ্ঞানের পাঠ নিয়েছেন, যেখানে এমন উল্টো শেখানো হয়?