Nirbhaya Case

পবনদের দিয়েই ফাঁসি দেওয়া শুরু হল পবন জল্লাদের

একাধিক ফাঁসিতে ঠাকুরদার সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন পবন। শিখেছেন ফাঁসি দেওয়ার বিভিন্ন নিয়মকানুন, কায়দা। ঠাকুরদার মৃত্যুর পর বাবা মাম্মু সিংহের সহকারী হিসাবেও পবন কাজ করেছেন কিছু দিন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মেরঠ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৯:২২
Share:

এই প্রথম নিজের হাতে ফাঁসি দিলেন পবন জল্লাদ—নিজস্ব চিত্র।

বহু ফাঁসির সাক্ষী থাকলেও, এই প্রথম নিজের হাতে ফাঁসি দিলেন পবন জল্লাদ। একসঙ্গে চার-চার জনকে। নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের গলায় দড়ি পড়িয়ে, হাতল টান দিলেন যে পবন, তিনি পারিবারিক ভাবে তৃতীয় প্রজন্মের ফাঁসুড়ে। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবন। বয়স ৫৫। পবনের ঠাকুরদা কাল্লু জল্লাদ ফাঁসি দিয়েছিলেন ইন্দিরা গাঁধীর দুই খুনি-ষড়যন্ত্রীকে। জোড়া অপহরণ করে খুনের ঘটনায়, রঙ্গা-বিল্লার ফাঁসিও তাঁর হাতে।

Advertisement

একাধিক ফাঁসিতে ঠাকুরদার সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন পবন। শিখেছেন ফাঁসি দেওয়ার বিভিন্ন নিয়মকানুন, কায়দা। ঠাকুরদার মৃত্যুর পর বাবা মাম্মু সিংহের সহকারী হিসাবেও পবন কাজ করেছেন কিছু দিন।

জল্লাদ হলেও, আদতে পবন বেশ নিরীহ প্রকৃতির। অভাবের সংসার তাঁর। মাথায় সাত সন্তানের দায়িত্ব। সংসার চালাতে সাইকেল নিয়ে কাপড় বিক্রি করেন। নিজের হাতে এর আগে ফাঁসি দেননি। নিঠারি হত্যাকাণ্ডে দোষী সুরেন্দ্র কোলিকে তাঁর ফাঁসি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি এ দেশে শুধু বকসর জেলেই তৈরি হয়

জল্লাদ হলেও, আদতে পবন বেশ নিরীহ প্রকৃতির—নিজস্ব চিত্র।

ফাঁসুড়ে পবন প্রবল কালী ও বজরঙ্গবলীর আরাধনা করেন। নিয়ম করে মন্দিরে যান। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই দিন গুজরান হয় তাঁর। পবনের দাবি, তিনি শুধুমাত্র ফাঁসির সময়টুকুই জল্লাদ। আসলে মানুষ তাঁকে ফেরিওয়ালা হিসাবেই চেনেন। তাঁর জল্লাদ পরিচয়টি বেশির ভাগের কাছেই অজানা।

আরও পড়ুন: শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ, কী হয়েছিল দিল্লির সেই ভয়ঙ্কর রাতে

এত বছর পর সুযোগ পেলেন পবন। নির্ভয়া-কাণ্ডের চার দোষীকে ফাঁসি দেওয়ার ভার তাঁর কাঁধে। তার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। পবন জানান এই ঘৃণ্য অপরাধের দোষীদের ফাঁসি দিতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন