আন্তর্রাজ্য প্রতারণা চক্রের চাঁই গ্রেফতার কলকাতায়

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি প্রতারণা চক্রের চাঁইকে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে সেই চাঁইয়ের নাম উঠে আসে। ধৃতের নাম সঞ্জয় ভার্মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৫ ১৯:১৪
Share:

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি প্রতারণা চক্রের চাঁইকে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ।

Advertisement

বিধাননগর কমিশনারেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে সেই চাঁইয়ের নাম উঠে আসে। ধৃতের নাম সঞ্জয় ভার্মা।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে পরশ শাহ নামে মুম্বইয়ের এক পাথর ব্যবসায়ী এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

Advertisement

ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ধৃত সঞ্জয় তাঁকে রেডিয়াম রয়েছে এমন দুষ্প্রাপ্য একটি পাথর বিক্রির প্রস্তাব দেন। সেই কারণে বিরাটির ধাবায় দু’জনে দেখা করেন। সেখানেই চুক্তি হয়। নগদ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই পাথর কেনেন মুম্বইয়ের পাথর ব্যবসায়ী। কিন্তু যে পাথর তাঁকে দেওয়া হয়, তার মধ্যে রেডিয়ামের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। তার পরেই এই অভিযোগ।

কিন্তু দুই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা কেন এ রাজ্যে বসে ওই চুক্তি করেছিল? পুলিশের দাবি, সারা দেশেই ওই প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। ধৃত সঞ্জয়ের নামে একাধিক রাজ্যে মামলা রয়েছে। তাই সেই সব রাজ্যের পুলিশের নজর এড়াতে এ রাজ্যকে বেছে নিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, রেডিয়ামের ম্যাগনেটিক ফিল্ড শক্তিশালী হওয়ায় চাল পর্যন্ত টেনে নিতে পারে। এমন কোনও পাথর দেখিয়েই ফাঁদ পেতেছিল ধৃত সঞ্জয়। তার নামে মুম্বই, মুজফফরনগর, বেঙ্গালুরু সহ একাধিক শহরে অসংখ্য মামলা রয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই সে সেই সব রাজ্যের পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়েছে।

জুলাই মাস তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। সে কথা জানতে পেরে ধৃত সঞ্জয় কলকাতায় এসে আগাম জামিনের চেষ্টাও করেছিল। তখন অবশ্য পুলিশ তার নাগাল পায়নি। শনিবার ফের সে কলকাতায় আসে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযোগকারী সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, কলকাতা ও শহর-শহরতলিকে বেছে নিচ্ছে ভিন রাজ্যের অপরাধীরা। এখানেও তারা জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ফলে এই চক্রটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি। সে বিষয়েই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন