National news

প্রথম দশে নেই বাংলা, দুর্নীতিতে বিহারকে টপকে পয়লা স্থানে কর্নাটক

বিহারকে টপকে সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ রাজ্যের তকমা পেল কর্নাটক। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিস (সিএমএস) নামে এক সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি ক্ষেত্রে কাজে কতটা দুর্নীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে, এই সমীক্ষা তারই ফল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ২০:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিহারকে টপকে সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ রাজ্যের তকমা পেল কর্নাটক। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিস (সিএমএস) নামে এক সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি ক্ষেত্রে কাজে কতটা দুর্নীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে, এই সমীক্ষা তারই ফল। কর্নাটকের ৭৭ শতাংশ মানুষ এই ভাবে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

‘সিএমএস ইন্ডিয়া করাপশন স্টাডি ২০১৭’ নামে ওই সমীক্ষাটি ২০১৬ সাল জুড়ে করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সমীক্ষায় রিপোর্ট প্রকাশ করে সিএমএস। দেশের ২০টি রাজ্যের গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে মোট ৩,০০০ সাধারণ মানুষের বাড়িতে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, কর্নাটকের মানুষই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির মুখোমুখি হয়েছেন। তার পরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৭৪ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু (৬৮ শতাংশ)। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাত রয়েছে সপ্তম স্থানে (৩৭ শতাংশ) এবং পশ্চিমবঙ্গ একাদশে (২১ শতাংশ)।

আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পের মেশিনগুলি আমাদের এই ভাবে ঠকায়?

Advertisement

তবে এই সমীক্ষার তথ্য যদি ঠিকঠাক হয়, তা হলে এটা বলা যেতেই পারে যে বিহারের দুর্নীতি আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। কারণ, ২০০৫ সালের সমীক্ষায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য বিহার এখন রয়েছে অষ্টম স্থানে। বিহারে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষ।

অন্য দিকে, সিএমএস-এর প্রকাশ করা তালিকা একটু ভাল ভাবে দেখলেই বোঝা যাবে দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিই দুর্নীতিতে এগিয়ে। প্রথম দশের মধ্যেই রয়েছে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু। যেখানে প্রায় সব সময়েই সংবাদের শিরোনামে থাকা উত্তরপ্রদেশের মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ সরকারি স্তরে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সিএমএসের চেয়ারম্যান এন ভাস্কর রাও বলেন, ‘‘এই বিষয়টি নীতি আয়োগের নজরে আনার জন্যই আমরা প্রতি বছর এই সমীক্ষা চালাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন