উপরাষ্ট্রপতি পেতে মরিয়া বিরোধীরাও

লালুর বিরুদ্ধে সিবিআই হানার পরে বিরোধী শিবির কিছুটা হলেও ছত্রভঙ্গ। বিরোধী জোটের আশা ছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ছিটকে যাওয়া নীতীশ কুমার অন্তত উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাইয়ে সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু আগামিকালই তিনি পটনায় দলের বৈঠক ডেকেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০৪:৫০
Share:

বৈঠকে রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী এবং অন্যেরা।—ফাইল চিত্র।

বিজেপির অপেক্ষা না করে আগ বাড়িয়েই উপরাষ্ট্রপতির প্রার্থী ঘোষণা করতে চাইছে আক্রমণাত্মক একজোট বিরোধী। সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে আগামিকাল বিরোধীদের বৈঠকের আগে আপাতত গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোপালা গৌড়ার মতো নামই উঠে আসছে। সিঙ্গুর মামলায় যিনি বিচারপতি ছিলেন।

Advertisement

লালুর বিরুদ্ধে সিবিআই হানার পরে বিরোধী শিবির কিছুটা হলেও ছত্রভঙ্গ। বিরোধী জোটের আশা ছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ছিটকে যাওয়া নীতীশ কুমার অন্তত উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাইয়ে সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু আগামিকালই তিনি পটনায় দলের বৈঠক ডেকেছেন। যদিও তাঁর দলের নেতা উপস্থিত থাকতে পারেন বৈঠকে। লালুর সুরেই তাঁর দলের শরদ যাদব আজ বলেন, বিরোধী জোটে ভাঙ্গন ধরাতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও বিরোধীদের পাশ কাটালেন নীতীশ

Advertisement

নীতীশ ছাড়া বাকি বিরোধী দলগুলিও জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা পাশে রয়েছেন লালুর।

আর এই ঐক্যের ছবিটি তুলে ধরে আগামী কাল শুধু উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নয়, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সংসদে কোন পথে হামলা করা হবে, তারও রূপরেখা তৈরি হবে। সঙ্ঘের সঙ্গে কথা বলে চলতি সপ্তাহেই উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী স্থির করবেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। তার আগেই বিরোধীরা নাম ঘোষণা করে দিতে চাইছে। নীতীশ কুমারও এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য কংগ্রেস ছাড়া বাকি দল চায়, কংগ্রেসের বাইরে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, এমন কাউকেই বাছা হোক। যে-হেতু রাষ্ট্রপতি পদে কংগ্রেসের মীরা কুমার প্রার্থী হয়েছেন, সেই হিসেবেই গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, গোপালা গৌড়ার নাম ভাবা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি পদের সময়েই গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম উঠে এসেছিল। সনিয়া গাঁধীকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন।

তৃণমূল অবশ্য ইতিমধ্যেই স্থির করেছে, রবিবার সর্বদল বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজে যাবে না দল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। রাতে অবশ্য স্পিকারের নৈশভোজে পাঠানো হচ্ছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখে তৃণমূল ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিকে সামনে আনছে। কিন্তু সাম্প্রতিক টানাপড়েনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে চাইছে না তৃণমূল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সকলেই ভোট দেবেন বিরোধী দলের প্রার্থীকে। যদিও দলের আশঙ্কা, বরখাস্ত হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ ভোট দিতে পারেন রামনাথ কোবিন্দকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন