Kerala

মৃত্যুর আগে দু’সপ্তাহ কিচ্ছু খেতে পারেনি সেই গর্ভবতী হাতি, এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

মুখে বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া ক্ষত থেকে স্থানীয় ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। পেটে থাকা হাতির ভ্রুণটির বয়স হয়েছিল দু’মাস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ২১:৫২
Share:

এ ভাবেই জলে দাঁড়িয়ে থেকে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে হাতিটি। —ফাইল চিত্র

বিপুল পরিমাণ খাবার বোঝাতে ব্যবহার হয় ‘হাতির খোরাক’। কিন্তু সেই হাতিই যদি খাবার খেতে না পারে? পরিণাম যা হওয়ার তাই হয়েছে। বাজি পুরে রাখা আনারস খেয়ে মুখে বিস্ফোরণের পর থেকে দু’সপ্তাহ কিছু খেতেই পারেনি। এমনকী জল পর্যন্ত নয়। ক্ষিদে, তেষ্টায় নদীর জলের মধ্যেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে হাতিটি। শুক্রবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর উঠে এল এই ভয়ঙ্কর তথ্য। মান্নারকড় বন বিভাগের তিরুভাইজামুকুন্ন বিট অফিসে করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখে বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া ক্ষত থেকে স্থানীয় ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তার জেরেই খাবার খেতে পারেনি হাতিটি। আর পেটে থাকা হাতির ভ্রুণটির বয়স হয়েছিল দু’মাস।

Advertisement

কিছু দিন আগে কেরলের মল্লপ্পুরমে খাবারের খোঁজে হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আনারস খেতে দিয়েছিল তাকে। কিন্তু সেই আনারসের মধ্যে ভর্তি করা ছিল পটকা-বাজি। সেই আনারস খেতেই মুখে ফেটে যায় বাজি ভর্তি আনারস। তার পর সেখান থেকে হাতিটি চলে যায় ভেলিয়ার নদীর ধারে। প্রায় দু’সপ্তাহ শুঁড় ডুবিয়ে জলে দাঁড়িয়ে ছিল। গত ২৭ মে সেখানেই মৃত্যু হয় হাতিটির।

মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ হিসেবে তখন বলা হয়েছিল, জলে ডোবার কারণে অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেলেছিল হাতিটি। তার জেরে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর পনেরোর হাতিটির। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘বাজি ফাটার ফলে তৈরি হওয়া মুখের ক্ষত থেকে স্থানীয় সংক্রমণ হয়েছিল। সেই কারণে মুখ সহ সর্বত্র অসহনীয় ব্যথা হয়েছিল। আর তার জেরে প্রায় দু’সপ্তাহ খাবার ও জল কিছুই খেতে পারেনি হাতিটি। প্রচণ্ড দুর্বলতা থেকে শেষ পর্যন্ত নুইয়ে পড়ে এবং জলে ডুবে মৃত্যু হয়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: টিকটক স্টার বিজেপি নেত্রীর চপ্পলের ঘা আধিকারিকের মাথায়, ভাইরাল ভিডিয়ো

হাতিটির ময়নাতদন্ত মুখে বা শরীরে গুলি বা ধাতব কোনও বস্তুর আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বাইরে থেকে কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, মেলেনি তেমন প্রমাণও। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখের মধ্যে নানা ধরনের টিসু ও প্রচুর পোকার লার্ভা। চিকিৎসকরা মনে করছেন, ঘা থেকে যে সংক্রমণ হয়েছিল, সেখানেই লার্ভা তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া নীচের চোয়াল অত্যন্ত ফুলে যাওয়া চোয়াল ছাড়া আর কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।

আরও পড়ুন: ‘মদের আসর’-এর ছবি পোস্ট, মিডিয়া সেলের সব শীর্ষকর্তাকে সরিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন