প্রতীকী ছবি।
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন অভিযুক্ত সম্পর্কে ভাই। তাঁদের মধ্যে দু’জন সহোদর। অন্য জন তুতো ভাই। সোমবার রাতে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা ঘটনার দিন মত্ত অবস্থায় ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, নির্যাতিতার বন্ধুকে কাস্তে দিয়ে কোপানোরও অভিযোগ উঠেছে।
কোয়েম্বত্তূর বিমানবন্দরের কাছ থেকে কলেজছাত্রীকে অপহরণ এবং গণধর্ষণের ঘটনায় যখন তোলপাড়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের খুঁজে বার করে পুলিশ। তাঁদের ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তিন অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগে। তার পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলেজছাত্রী এবং তাঁর এক বন্ধু গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তিন জন একটি মপেডে চেপে এসে তাঁদের গাড়ি দাঁড় করান। তার পর গাড়ির কাচ ভেঙে দেন। ছাত্রীর বন্ধুকে মারধর করেন। কাস্তে দিয়ে হামলা চালানো হয়। তার পর ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান একটি নির্জন জায়গায়। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন সম্প্রতি ডাকাতির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও ঝুলছে। তবে ধৃতেরা কোনও রাজনৈতিক দলের নয় বলেই দাবি পুলিশের। এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ গরম হয়ে উঠেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে নিশানা বানাচ্ছে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি।