National News

বিহারে এখন দু’টো জনতা দল: শরদ যাদব

আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ভেঙে বিজেপি-র সঙ্গ নেওয়ায় নীতীশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, নীতীশ কুমার বিহারের ১১ কোটি মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ২১:৩৮
Share:

নীতীশ কুমার বিহারের ১১ কোটি মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেন শরদ যাদব। ছবি: সংগৃহীত।

মহাজোট ভেঙে বিজেপি-র সঙ্গে হাতে মেলানোয় আগেই নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার নাম না করে নীতীশকে তীব্র আক্রমণ করলেন জেডিইউ-এর ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা শরদ যাদব।

Advertisement

বুধবার তিন দিনের জন্য বিহারে ‘বহুজন চৌপল যাত্রা’ শুরু করেছেন শরদ। সেই যাত্রার অঙ্গ হিসেবে সোনপুরে যান তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “বিহারে এখন দু’টি জনতা দল রয়েছে। সরকারি জনতা দলের মানুষজন পটনায় মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী হয়েছেন। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে আসল জনতা দল।” আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ভেঙে বিজেপি-র সঙ্গ নেওয়ায় নীতীশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, নীতীশ কুমার বিহারের ১১ কোটি মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। ২০১৫-তে বিধানসভা ভোটে মানুষ মহাজোটকে ক্ষমতায় এনেছিল, যাতে তারা পাঁচ বছরের জন্য রাজ্য শাসন করতে পারে।

আরও পড়ুন

Advertisement

শশীকে ধাক্কা দিয়ে হাত মেলানোর পথে পনীর-পলানী

শরদ বলেছেন, “আমি এখনও মহাজোটকে সমর্থন করি। এই চৌপল যাত্রায় থাকার জন্য কয়েক জন মাত্র জেডি (ইউ) নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।” তবে এ দিন সোনপুরে তাঁর চৌপল যাত্রায় দলীয় কোনও জনপ্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। বরং সমর্থকদের নিয়ে সেই যাত্রায় হাজির ছিলেন স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক রামানুজ প্রসাদ।

এ দিন বিমানবন্দরে কোনও জেডি(ইউ) নেতা উপস্থিত না থাকলেও শরদ যাদবকে সংবর্ধনা জানাতে হাজির ছিলেন সংযুক্ত জনতা দলের বহু সমর্থক। তবে শরদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে জেডি(ইউ)। তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে দলের রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে চৌপল যাত্রা করছেন শরদ। জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে এই যাত্রার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

আরও পড়ুন

‘ঈশ্বরের মন’ পড়তে পেরেছিলেন আইনস্টাইন!

আগামী ২৭ অগস্ট পটনার গাঁধী ময়দানে লালুপ্রসাদের ডাকা সভায় হাজির থাকবেন বলেও জানিয়েছেন শরদ। যদিও বিজেন্দ্র যাদব এবং কে সি ত্যাগীর মতো শরদের ঘনিষ্ঠ নেতারা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলছেন। এ দিন ত্যাগী বলেন, ‘‘তাঁর সিদ্ধান্তে আরজেডি’র লাভ হবে। তিনি যদি দলের লাইনের বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক হবে।’’

আগামী ১৯ অগস্ট পটনায় জেডি(ইউ)-এর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে শরদ যাদবকে নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে বড় কিছু না হলে শরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন