সুবনসিরি প্রকল্প রূপায়ণের আর্জি

দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা দ্রুত চালু হচ্ছে— এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সে ক্ষেত্রে আবেদন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যৎ সংযোগ মিলবে। আজ গুয়াহাটিতে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই অসমের সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করা হবে। ওই প্রকল্প তৈরি হলে অসমবাসী অনেক কম খরচে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৪
Share:

দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা দ্রুত চালু হচ্ছে— এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সে ক্ষেত্রে আবেদন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যৎ সংযোগ মিলবে। আজ গুয়াহাটিতে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই অসমের সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করা হবে। ওই প্রকল্প তৈরি হলে অসমবাসী অনেক কম খরচে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবেন।

Advertisement

গুয়াহাটিতে দু’দিনের ওই সম্মেলনে প্রথম দিন বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন গয়াল। সেখানকার বিদ্যুৎ পরিকাঠামো ও সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। তিনি জানান, ২০১৪-১৫ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৮৩০ মেগাওয়াট। পরিবর্তে হয়েছে ২২ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। বৃদ্ধির হার সাড়ে ৮ শতাংশ। গয়াল বলেন, ‘‘সব রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানো ও ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে রাজ্য ভিত্তিক পরিকল্পনা করা হবে।’’ তিনি জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থান ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করেছে।

অসমের নামনি সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আন্দোলন ও অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে গয়াল বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞদের মতামত ও স্থানীয় সংগঠনগুলির সম্মতি নিয়েই কাজ শুরু করা হবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ওই প্রকল্প চালু হলে এক দিকে জলসেচ ব্যবস্থায় সুবিধা হবে। অন্য দিকে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। অসমের মানুষ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত্ পাবেন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ২ হাজার মেগাওয়াটের ওই প্রকল্প থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দাবি করেছে অসম। গয়াল আরও জানান, উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উন্নয়নে কেন্দ্র ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি সরবরাহ লাইন তৈরি হয়েছে। অসমের বিশ্বনাথ থেকে আগ্রা পর্যন্ত সরবরাহকারী লাইন দিয়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বহন করা যেতে পারে। শিলচর থেকে ইম্ফল পর্যন্ত সরবরাহ লাইনের কাজ দ্রুত শেষ হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement