বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি উমরাংশুর ১০টি গ্রামে, ক্ষুব্ধ মানুষ

ডিমা হাসাও জেলার ওই অঞ্চলে রয়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু সেখানকারই ১০টি গ্রাম আজও অন্ধকারে! বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে উমরাংশু এলাকা ডিমা হাসাও জেলার উদ্যোগ-নগরী হিসেবে পরিচিত। সেখানেই রয়েছে কপিলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। রয়েছে কয়েকটি সিমেন্ট কারখানা। এমন এলাকার ১০টি গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০৪:০০
Share:

ডিমা হাসাও জেলার ওই অঞ্চলে রয়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু সেখানকারই ১০টি গ্রাম আজও অন্ধকারে! বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে উমরাংশু এলাকা ডিমা হাসাও জেলার উদ্যোগ-নগরী হিসেবে পরিচিত। সেখানেই রয়েছে কপিলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। রয়েছে কয়েকটি সিমেন্ট কারখানা। এমন এলাকার ১০টি গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন। বেশিরভাগ বাসিন্দাই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেন। বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলোর কথা তাঁদের কাছে স্বপ্ন। কয়েক বছর আগে সরকার রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প চালু হলেও, ওই সব গ্রামে তার সুফল পৌঁছয়নি। অভিযোগ, স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে ওই ১০টি গ্রামের বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্পের নথিপত্র। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্পে উমরাংশুর বড় লুবাং, ছোট লুবাং, বড় লক্ষ্মীরডং, ছোট লক্ষ্মীরডং, সর্বেলাংশু, পুরালাংশু, চিরিলাংশু গ্রামগুলির নাম জুড়েছিল ২০১০ সালে। কয়েকটি জায়গায় ট্রান্সফর্মারও বসানো হয়। গরমপানি নেপালি বস্তির গ্রামপ্রধান চন্দ্রবাহাদুর সার্কি বলেন, ‘‘সবক’টি গ্রামই নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের (নিপকো) বিদ্যুৎ প্রকল্পের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে। ওই প্রকল্পের বিদ্যুৎ অনেক গ্রাম-শহরে পৌঁছয়। কিন্তু আমাদের কোনও গ্রামে আসেনি।’’ তাঁর অভিযোগ, রাজীব গাঁধী বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্পে ২০১০ সালে এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর জন্য বরাদ্দ হয়তো করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির জেরে সংযোগ আসেনি।

Advertisement

বিদ্যুৎ পর্ষদের উমরাংশু সাব-ডিভিশনের এসডিও প্রদীপচন্দ্র শইকিয়া বলেন, ‘‘ওই প্রকল্প দারিদ্র সীমার নীচে (বিপিএল) বসবাসকারীদের জন্য। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিপিএল তালিকাই খুঁজে পাচ্ছি না। শুনেছি ২০১৪ সালে দফতরে আগুন লেগেছিল। তখন অনেক নথি পুড়ে যায়। তার মধ্যে বিপিএল তালিকাও ছিল।’’ প্রদীপবাবুর দাবি, বিপিএল কার্ড নিয়ে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা নিয়ম মেনে বিভাগের কাছে আর্জি জানালে কাগজপত্র পরীক্ষা করে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

২০১০ সালে কি এ জন্য কোনও অর্থ মঞ্জুর হয়েছিল? অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে বলে প্রদীপবাবু জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, ১০টি গ্রামের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল কি না, তদন্ত করে দেখা হোক। গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন