India-China Clash

লাদাখ প্রশ্নে সমর্থন মিলছে, দাবি দিল্লির

আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আসিয়ানভুক্ত পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র নিজেদের মতো করে বিশ্ব ব্যবস্থায় চিনের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করছে গত এক সপ্তাহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৯
Share:

ছবি এএফপি।

কোনও একটি দেশের কূটনৈতিক প্রয়াস নয়। এমনকি বেশ কিছু রাষ্ট্রের পরিকল্পনামাফিক সঙ্ঘবদ্ধ পদক্ষেপও নয়। গত কয়েক দিনে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত স্তরে চিন-বিরোধিতার যে হাওয়া উঠেছে, তা স্বতঃস্ফূর্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সামরিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সঙ্গে জট ছাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি, চিন প্রশ্নে বিশ্ব পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটাও মূল্যায়ন করে দেখছে সাউথ ব্লক।

Advertisement

আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আসিয়ানভুক্ত পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র নিজেদের মতো করে বিশ্ব ব্যবস্থায় চিনের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করছে গত এক সপ্তাহে। আর এই সমালোচনার প্রসঙ্গে উঠে আসছে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতিও। কূটনীতিকদের মতে, এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক। ২০১৭-এ ডোকলামে সংঘাত চলার সময় সাউথ ব্লক উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে দৌত্য করে বেজিংকে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ বার চিন-বিরোধী একটি অদৃশ্য ব্লক, নিজে থেকেই তৈরি হয়ে রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অস্বচ্ছতা নিয়ে।

চিনের অ্যাপ ভারত নিষিদ্ধ করার পর কাল মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ভারতীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের ভয়ংকর রূপ তিনি যত দেখছেন, চিনের উপর আরও বেশি করে রাগছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনও চিনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তুলেছেন। চিনের হংকং নীতিরও বিরোধিতা করেছেন বাইডেন। জাপানের পক্ষ থেকেও কড়া বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, হংকং নিয়ে চিনের নীতি আন্তর্জাতিক বিশ্বাসের ভিতকে দুর্বল করবে। হংকংয়ে বিক্ষোভ ঠেকাতে চিন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়েছে— তার নিন্দা করেছে জাপান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহেই ভারত মহাসাগরে ভারতের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া করে চিনকে বার্তা দিয়েছে টোকিও।

Advertisement

চিনের সঙ্গে যুযুধান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট একধাপে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই প্রথম স্থল, জলপথ এবং আকাশে দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। চিনকে লক্ষ্য করে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভূখণ্ড আগ্রাসন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একাধিপত্যের চেষ্টার কারণেই এই ব্যবস্থা তাদের নিতে হয়েছে। অন্য দিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল জানিয়েছেন, চিন আদৌ নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদার হওয়ার যোগ্য কি না, এ বার তা ভাবার সময় এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন