Clash in Myanmar

মায়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ! বাড়ছে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা, নেপথ্যে কোন কারণ?

মিজ়োরাম সরকারের এক আধিকারিক নাম না-প্রকাশ করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত ২ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ মায়ানমার থেকে পালিয়ে মিজ়োরামে আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৫
Share:

মায়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ছবি: রয়টার্স।

মায়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতের মিজ়োরামে ঢুকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ক্রমশ বাড়ছে আশ্রয়প্রার্থীর এই সংখ্যাটা। সোমবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। মিজ়োরাম সরকারের এক আধিকারিক নাম না-প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, গত ২ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ মায়ানমার থেকে পালিয়ে মিজ়োরামে আশ্রয় নিয়েছেন। মিজ়োরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপডাঙা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যাটা চার হাজার নয়, তিন হাজার।

Advertisement

আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক দিকে ভারতের মিজ়োরাম রাজ্য। অপর দিকে রয়েছে মায়ানমারের চিন প্রদেশ। মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিম দিকের এই প্রদেশে ক্ষমতা দখল নিয়েই লড়াই বেঁধেছে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে। চিন জনগোষ্ঠীর লোকজনই দু’টি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পরিচালনা করে থাকেন। তাদের একটির নাম চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স, অপরটির নাম চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স হুয়ালনগোরাম। মায়ানমারের সামরিক শাসনের (জুন্টা) বিরুদ্ধে দুই গোষ্ঠী একসময় হাত মিলিয়ে লড়াই করেছিল। তবে সম্প্রতি চিন প্রদেশে প্রভাব বিস্তার এবং ক্ষমতা দখল নিয়ে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে চিন প্রদেশের বহু মানুষ ভারতে ঢুকে পড়তে শুরু করেন। গত ২ জুলাই থেকে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মিজ়োরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, “এই সংঘাতকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। মানুষ এখানে আসছেন। তাই মানবিকতার খাতিরে আমরা তাঁদের পানীয় জল, খাবার এবং আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছি।” প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মিজ়োরামের চম্পাই জেলার জ়োখাওথার এবং সইখুমপাই গ্রাম দু’টিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি মায়ানমার সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement