উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরন মিটিয়ে না দিলে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ফের অবরোধের হুমকি দিল এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ডেভিড কেভম ও সাধারণ সম্পাদক পাওনিলুন চাংসন জানান, ২ বছর ধরে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম মাহুর থেকে ডিটেকছড়া পর্যন্ত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেলকর্তৃপক্ষ। লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন নির্মাণের সময় ৫০টি গ্রামের কৃষিজমি, স্কুল, প্রার্থনাঘর, গির্জা নষ্ট হয়েছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ সে সবের ক্ষতিপূরণ দেননি। ব্রডগেজ প্রকল্পের জন্য প্রায় পাঁচশো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৩০০ হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে।
কেভম জানান, গত ১৫ নভেম্বর ওই সব গ্রামের মানুষের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম লামডিং-শিলচর রেললাইনে অবরোধ গড়েছিল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ও প্রশাসনের কর্তারা ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সংগঠন অবরোধ প্রত্যাহার করে। গত ২৪ নভেম্বর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতর মালিগাঁওয়ে ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের রাজস্ব বিভাগের অফিসার ও রেলের নির্মাণ শাখার জিইএম এইচ কে জাগ্গি ছাত্র সংগঠনটির সঙ্গে বৈঠক করেন। দু’মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ মেটানো, মাহুর ও হারাঙ্গাজাও স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ নিয়ে রেল ও ডিমা হাসাও প্রশাসন যৌথ সমীক্ষা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ফোরামের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত রেল এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।
২৪ জানুয়ারি রেলের প্রতিশ্রুতির ২ মাস পূর্ণ হবে। কেভম জানান, ওই সময়ের মধ্যে রেল কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম ফের রেল অবরোধ করতে বাধ্য হবে।