Maoists Surrender In Chhattisgarh

মাথার দাম সব মিলিয়ে ১৯ লক্ষ টাকা, তিন মাওবাদী নেতা-নেত্রী আত্মসমর্পণ করলেন ছত্তীসগঢ়ে

নারায়ণপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ এবং আইটিবিপি এই আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ২০:১৮
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও বস্তার ফাইটার্সের যৌথ অভিযানে বস্তারের অবুঝমাঢ়ের অরণ্যে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে মাওবাদীরা। যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও।

Advertisement

এই আবহে বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলায় দুই মহিলা-সহ তিন জন মাওবাদী কমান্ডার আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী চার মাওবাদীর মাথার মোট দাম ছিল ১৯ লক্ষ টাকা। এঁদের মধ্যে ভীমা ওরফে দীনেশ পোড়িয়াম (৪০) নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র স্থানীয় কোম্পানি কমান্ডার। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা। অন্য দিকে, আত্মসমর্পণকারী দুই মহিলা সুকলি কোররাম ওরফে স্বপ্না পিএলজিএর প্লাটুন কমান্ডার এবং দেবলী মান্ডভী (২২) ‘জনমিলিশিয়া’ বাহিনীর সদস্যা ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।

গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। এ বছর ইতিমধ্যেই সে সংখ্যা ছাপিয়ে যেতে চলেছে। মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ছত্তীসগঢ় পুলিশ গত বছর ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। পাশাপাশি, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের জন্যও শুরু হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। আর তারই সুফল ফলতে শুরু করেছে বলে ছত্তীসগঢ় পুলিশের দাবি। নারায়ণপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) প্রভাত কুমার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ এবং ‘ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ’ (আইটিবিপি) এই আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement