কাজের খোঁজে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলেন তিন ভারতীয় যুবক, মাঝপথে অপহৃত হন। ছবি: সংগৃহীত।
ইরানে গিয়ে নিখোঁজ তিন ভারতীয়ের খোঁজ মিলল। পঞ্জাবের অমৃতপাল সিংহ, জশপাল সিংহ এবং হুসনপ্রীত সিংহ ইরানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তিন জনকেই উদ্ধার করেছে তেহরান পুলিশ। ভারতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস বিবৃতি জারি করে এই খবর নিশ্চিত করেছে। ওই তিন জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইরানের দূতাবাস।
কাজের সূত্রে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অমৃতপাল, জশপালেরা। ইরান হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ইরানে পৌঁছোনোর পরপরই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অভিযোগ, তাঁদের কেউ বা কারা অপহরণ করেন। মুক্তিপণ বাবদ ১৮ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হয় তিন জনের পরিবারের কাছ থেকে। মুক্তিপণের এই টাকা দিতে বলা হয়েছিল যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, সেটি পাকিস্তানের বলে জানা গিয়েছে। তিন ভারতীয় যুবকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই তৎপর হয়ে উঠেছিল কেন্দ্র। ইরানের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, অপহরণকারীরা তিন জনের উপরেই নানা ভাবে অত্যাচার করেন।
গত ১ মে তিন ভারতীয়ের অপহরণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে শেষ বার তাঁদের কথা হয় ১১ থেকে ১৭ মে-র মধ্যে। ওই সময়ে তিন জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল, দাবি পরিবারের। তার পর থেকে কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। মুক্তিপণের বেশ কিছু টাকাও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
গত ২৯ মে ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইরানের দূতাবাস জানিয়েছিল, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ভারত সরকার জানায়, নিখোঁজ তিন জনের বিষয়ে ইরানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁরা সহযোগিতা করছেন। অবশেষে ইরানের দূতাবাস ওই তিন যুবককে উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করল।
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। টানা চার দিন দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতও চলেছে। গত ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। এর পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ চতুর্দেশীয় সফর ঘোষণা করেছিলেন। যে দেশগুলি সংঘাতের আবহে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাতে যান শরিফ। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইরান। যদিও ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও বেশ ভাল।