Stray Dog Tiger

অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে ‘পটু’! পথকুকুর ‘টাইগার’ই এখন রেল সুরক্ষাবাহিনীর অন্যতম সদস্য

এক আরপিএফ কর্মী জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির সময় টাইগারকে স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে চলে যান কেউ। তার পর থেকেই সারমেয়টির ঠিকানা চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১২:২১
Share:

চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের সেই পথকুকুর ‘টাইগার’। ছবি: সংগৃহীত।

বাচ্চা অবস্থায় তাকে স্টেশনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিলেন কেউ। সেই পথকুকুরই এখন রেল সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) অন্যতম সদস্য এবং ভরসাও বটে।

Advertisement

নাম টাইগার। ঠিকানা চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলস্টেশন। বাচ্চা বয়স থেকেই ওই স্টেশনে বড় হয়ে উঠেছে সে। ফলে যাত্রীদের সঙ্গে তার একটা ‘সখ্য’ও রয়েছে। কে যাত্রী, আর কে অপরাধী সহজেই ধরে ফেলে টাইগার। তার এই গুণ মুগ্ধ করে রেল সুরক্ষাবাহিনীকেও। তারাই পথকুকুরটির নাম দিয়েছে ‘টাইগার’।

এক আরপিএফ কর্মী জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির সময় টাইগারকে স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে চলে যান কেউ। তার পর থেকেই সারমেয়টির ঠিকানা চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন। রাতে যখন আরপিএফ টহল দিতে বার হত, তাদের সঙ্গে টাইগারও যেত। এমনকি কখনও কখনও নিজেও পুরো স্টেশনটি চক্কর দিয়ে আসত টাইগার। আরপিএফের সঙ্গে টহল নিয়মিত টহল দেওয়া শুরু করে টাইগার। ওই আরপিএফ কর্মী আরও জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে থাকতে থাকতে সারমেয়টি বেশ কিছু আদবকায়দা শিখে নিয়েছে। যা তাঁদের অপরাধী বা কোনও অপরাধমূলক কাজ বা কোনও সন্দেহজনক কিছু চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

Advertisement

আরপিএফ ইনস্পেক্টর মধুসূদন রেড্ডি বলেন, ‘‘টাইগারের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। রাতে আমাদের সঙ্গে টহল দিতে যায়। সন্দেহজনক বস্তু বা ব্যক্তিকে চেনার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে ওর। অনেক ছোটখাটো অপরাধীদের ধরতে সাহায্যও করেছে।’’ শুধু তা-ই নয়, ট্রেন থেকে একটি ডাকাতকেও ধরতে সাহায্য করেছে টাইগার।

রেড্ডি আরও জানিয়েছেন, টাইগারকে তাঁরা কোনও প্রশিক্ষণ দেননি। তাঁদের সঙ্গে থাকতেই থাকতেই অনেক কিছু আদবকায়দা এবং কৌশল রপ্ত করেছে সে। কোনও যাত্রী যদি বিপজ্জনক ভাবে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন, তাঁকে সচেতন করে টাইগার। রেড্ডির কথায়, ‘‘অলিখিত ভাবে টাইগার আরপিএফ দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement