Sougata Roy

TMC: শাস্তি দিতেও বৈষম্য, সরব তৃণমূল নেতারা

দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদীর ভুমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ০৭:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে পরাজয়ের পর মোদী সরকার নানা ভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে বলে ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনের পরে এ বার দলের অভিযোগ, সংসদেও সব দলকে ছেড়ে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই কোণঠাসা করার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতি কেড়ে ছেঁড়ার পর গোটা অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে। তৃণমূল অভিযোগ জানায়, এর পরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ পুরী গালিগালাজ করেন শান্তনুকে। ২৩ জুলাই বিষয়টি নিয়ে একটি দীর্ঘ চিঠি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জমা দিয়েছিলেন দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। পরবর্তী সময়ে ছ’জন তৃণমূল সাংসদকেও ফের এক দিনের সাসপেনশনের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে আবার একটি চিঠি দেন তিনি। আজ সুখেন্দুবাবু জানাচ্ছেন, এই সব চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারটুকুও করা হয়নি।

আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদীর ভুমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। পর পর কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন ডেরেক। বলেন, “দলিত বিল পাসের সময় দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং এইচ ডি দেবগৌড়া উপস্থিত থাকলেন। ভোটাভুটির সব নিয়ম পালন করে ফর্ম ভরলেন। কিন্তু মোদী এলেনই না। তাঁর এত ঔদ্ধত্য কীসের? আমরা জাতীয় নিরাপত্তা (পেগাসাস) নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। সরকার পালিয়ে গেল কেন? কেন আপনারা গড়ে দশ মিনিট সময়ে বিল পাস করাচ্ছেন? মোদী আসার আগে ৭০ শতাংশ বিল সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হতো। এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। এর ব্যাখ্যা কী?”

Advertisement

এ কথাও দলের পক্ষ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে কাগজ ছেঁড়া হলে সেই অপরাধে তৎক্ষণাৎ তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। অথচ ‘রিপোর্টার্স টেবল’-এ উঠে লাফালেও তাঁরা অন্য বিরোধী দলের সাংসদ বলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সময় লাগানো হচ্ছে। বিরোধীদের মধ্যে বিভাজনের এই রাজনীতি সম্প্রতি কেন্দ্র শুরু করেছে বলে এর আগেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন