—ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের হয়ে সওয়াল করলেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের সুপারিশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কেন আইনি অফিসার হিসেবে ৭ জনকে নিয়োগ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কল্যাণের কটাক্ষ, ‘নিজের লোক পাইনি বলেই কি রাজ্যের আইন দফতর ওই পদগুলিতে এত দিন নিয়োগ করেনি!’ কল্যাণ কার্যত কাদের কটাক্ষ করেছেন, তা নিয়ে তৃণমূল শিবিরে চর্চা শুরু হয়েছে।
কল্যাণকে এ দিন রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে দেখে অসফল পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে মজা করে প্রশ্ন তোলেন। কল্যাণ জবাবে বলেন, ‘‘আমি তো মুক্ত বিহঙ্গ। কোথাও বাঁধন নেই।’’ পরে বলেন, ‘‘রাজ্যের যেমন যে কোনও আইনজীবীকে নিয়োগ করার অধিকার রয়েছে, আমারও তেমন যে কোনও মক্কেলের হয়ে মামলা লড়ার অধিকার রয়েছে।’’
দিনের শেষে জয় হয়েছে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনেরই। এই মামলার জেরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে আইনি অফিসার নিয়োগ আটকে ছিল। কমিশন ২৩ জনের নাম সুপারিশ করলেও, ১৬ জনের নিয়োগ হয়। বাকি সাত জনের হয়নি। কমিশনের আইনজীবী পীযূষ রায় পরে বলেন, ‘‘বিচারপতি মদন বি লোকুরের বেঞ্চ ওই সাত জনকেও নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে।’’
রাজ্য সরকারের ৫০টি আইনি অফিসারের পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬০৬ জন। পীযূষবাবু জানান, লিখিত পরীক্ষা ও পার্সোনালিটি টেস্ট চলাকালীন ‘কাট-অফ মার্কস’ ঠিক করায় অসফল পরীক্ষার্থীরা আপত্তি তুলে ট্রাইবুনালে মামলা করেন। মামলা যায় হাইকোর্টে। দু’জায়গাতেই রাজ্য সরকার অসফল পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে কমিশনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সাত জনের নিয়োগের রাস্তা খুললেও কমিশনের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মামলা চলবে।