রাষ্ট্রপতি-উপরাষ্ট্রপতির বেতন বাড়ানোর কথা বলে হিসেব কষেই নিজের বাজেট বক্তৃতায় ছোট্ট বিরতি টেনেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সেই ফাঁদে আর কেউ পা না-দিলেও, দেয় তৃণমূল। জেটলির কথা শেষ হতেই, দলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ খেলোয়াড়ি রিফ্লেক্সে বলে ওঠেন, ‘‘আর আমাদের?’’ তাঁকে সঙ্গত দেন দলের আর এক সাংসদ। সিনেমায় নামার প্রস্তাব পাওয়া ওই সাংসদ বলে ওঠেন, ‘‘আমরা কি বাদ?’’ সাংসদদের রে রে থামতেই বিরতি ভেঙে, মুচকি হেসে সাংসদদের নিয়মিত বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন জেটলি।
দল হিসাবে তৃণমূল যে বর্ধিত বেতনের বিরুদ্ধে, এ কথা কিন্তু কালই জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সাংসদরা যা বেতন পাচ্ছেন তা যথেষ্ট। যদিও নেত্রীর ফরমান শুনে দলের এক সাংসদ আজ হালকা সুরে বলেন, ‘‘সাংসদরা দলের নীতি মানছেন কি না সেটা জানতে তো এ বার এটিএমের স্লিপে নজর রাখতে হয়!’’ মমতার নীতিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল তো নারদ-সারদা থেকে টাকা তোলে। ওদের তাই বেতন না-বাড়লেও চলে। কিন্তু এই ৫০ হাজার টাকায় আমার চালানো মুশকিল।’’ বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সিপিএমও। মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে সংসদে যাতে বিতর্কের মান বাড়ে, তার জন্য আধুনিক গেজেটস বা বই কেনার টাকা বা গবেষণার দরকারে সহায়ক-ভাতা বাড়ানো হোক।’’
তবে সিদ্ধান্তে খুশি উত্তরপ্রদেশ-বিহারের সাংসদেরা। সপা’র এক সাংসদের কথায়, ‘‘ফি দিন এলাকা থেকে লোক আসে। তাদের খাইখরচ জোগাতেই মাইনে ফুরিয়ে যায়। বেতন না বাড়লে চলে?’’ খুশি পেনশনভোগী সাংসদরাও। এক বাম সাংসদের প্রশ্ন সাংবাদিককে, ‘‘আমাদের পেনশন কী হারে বাড়বে, কিছু বলল?’’