Delhi-Srinagar Flight

তৃণমূলের দল শ্রীনগরে, প্রবল ঝড়ে আতঙ্কের বিমানযাত্রা

বিমান থেকে নেমে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলটি সোজা চলে যান জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বাড়ির কার্যালয়ে। সেখানে ওমর ছাড়াও ছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং ওমরের মন্ত্রিসভার চার জন মন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৫ ০৭:৩৮
Share:

ক্ষতিগ্রস্ত বিমান। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে নেওয়া।

ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দিল্লি থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার সময়ে আকাশে ভয়ঙ্কর ঝড়ের মধ্যে পড়লেন। শেষ পর্যন্ত বাতাস এবং শিলাবৃষ্টির দাপটে নাকভাঙা অবস্থায় বিমানটিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছটার সময়।

তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি (ডেরেক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভুঁইয়া, নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর) দলের পক্ষ থেকে সাগরিকা বলেন, “মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার অভিজ্ঞতা হল আজ!” ভিডিয়োয় দেখা যায়, আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রীদের মধ্যে। প্রত্যেকেই চিৎকার করছেন এবং ঈশ্বর, আল্লার নাম করছেন। বিমান থেকে নামার সময়ে ডেরেকরা বিমানচালককে ধন্যবাদ দেন। বিমানচালক বলেন, তিনি ৪১ বছর বিমান চালাচ্ছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁরও কখনও হয়নি।

বিমান থেকে নেমে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলটি সোজা চলে যান জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বাড়ির কার্যালয়ে। সেখানে ওমর ছাড়াও ছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং ওমরের মন্ত্রিসভার চার জন মন্ত্রী। ডেরেক জানিয়েছেন, “দেড় ঘণ্টার মতো কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানকার মানুষ কী ভাবছেন, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের। স্থির হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ওমর আবদুল্লা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য।” তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে জানানো হয়েছে সে কথা। লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ শ্রীনগরে পৌঁছেছে শোকাহত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে এবং ওই ভয়াবহ ঘটনায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাতে।’’

সাগরিকা বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণে এই অবস্থা। মানুষের জীবন ও জীবিকা গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে পুঞ্চ ও রাজৌরিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পরিবারের কাছে আমরা আগামী দু’দিন যাব, এই সাহস দিতে যে তাঁরা একা নন। আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন