Saket Gokhale

সাকেতের পাশে তৃণমূল, দেবে আইনি সাহায্যও

গুজরাত পুলিশ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলের নেতা ও আরটিআই কর্মী সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে সাকেত গুজরাতে জেলে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৯
Share:

তৃণমূলের নেতা ও আরটিআই কর্মী সাকেত গোখল। ফাইল চিত্র।

ইডি সাকেত গোখলের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগ তুললেও তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পাশে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

গুজরাত পুলিশ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলের নেতা ও আরটিআই কর্মী সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে সাকেত গুজরাতে জেলে ছিলেন। বুধবার ইডি গুজরাতের জেল থেকেই সাকেতকে গ্রেফতার করে। আদালত তাঁকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, তথ্যের অধিকার আইন কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে নানা তথ্য উদ্ধার করবেন বলে সাকেত আমজনতার থেকে ‘ক্রাউডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলেছিলেন। কিন্তু তার অধিকাংশ অর্থই মদ্যপান, রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া, শেয়ার কেনাবেচায় খরচ করেছেন। এ জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।

ইডি-র এই অভিযোগ সত্ত্বেও তৃণমূল মনে করছে, বিজেপি-র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতাদের অপরাধ দেখেও চোখ বুজে থাকছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। শুধু বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এনসিপি থেকে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুঁদে আইনজীবী মজিদ মেমন ও সত্য মোহান্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকেতকে আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্য। গুজরাত পুলিশ দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যে ভাবে বঙ্গভবনে ঢুকে সাকেতকে গ্রেফতার করেছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করেছে, তার বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। বঙ্গভবনের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে সাকেতকে গুজরাত পুলিশ দু’বার ভুয়ো খবর ছড়ানোর মতো অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে সাকেত কংগ্রেসে ছিলেন।

ইডি-র দাবি, তথ্যের অধিকার কর্মী হিসেবে কাজের জন্য তিনি কংগ্রেসের থেকে প্রায় ২৩.৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। এ ছাড়া জনগণের থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলেন। দুই মিলিয়ে ১ কোটি টাকার বেশি রোজগার থেকে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করতে সাকেতের মাত্র ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। কিছু অর্থ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলায় খরচ হয়। বাকি টাকার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা তিনি ক্রেডিট কার্ডের বিল মিটিয়েছেন। যে ক্রেডিট কার্ড থেকে চার লক্ষ টাকার মদ কেনা হয়েছিল। বাকি টাকা রেস্তরাঁয় খাওয়া, শেয়ার কেনাবেচা, ব্যক্তিগত খরচে কাজে লেগেছে।

ইডি সূত্রের দাবি, সাকেত গুজরাত পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আমজনতার থেকে অর্থ সংগ্রহের সময়ই জানিয়েছিলেন, এই টাকা তাঁর নিজের খরচেও লাগবে। কারণ তাঁর অন্য কোনও আয় নেই। মদ্যপানের টাকা ওই অর্থ থেকে আসেনি বলেও জানিয়েছেন। ইডি সূত্রের বক্তব্য, অন্য আয় না থাকলে মদ কেনার টাকা আসবে কোথা থেকে! কংগ্রেসের থেকে টাকা পেয়েছিলেন বলে দাবি করলেও কিসের ভিত্তিতে টাকা পেয়েছেন, তার কোনও নথি দেখাতে পারেননি সাকেত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন