তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি।— নিজস্ব চিত্র।
দলীয় সাংসদদের শিলচর বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে ‘প্রহৃত’ হওয়ার ঘটনায় সংসদের উভয় কক্ষে অসমের ডিজি ও স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিল তৃণমূল। আজ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে ভাবে বর্ষীয়ান সাংসদদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, মহিলা সাংসদদের সঙ্গে ‘অভব্যতা’ করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমি আজ লোকসভায় অসম পুলিশের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিয়েছি। রাজ্যসভাতেও তা জমা দেওয়া হয়েছে।’’ তৃণমূল সাংসদদের সমর্থনে আজ সরব হন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। গণতন্ত্রের স্বার্থে তৃণমূল সাংসদেরা যাতে স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তার জন্য অসমের মুখ্যসচিব টি ওয়াই দাসকে অনুরোধ করেন সুস্মিতা।
আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ শিলচর বিমানবন্দরে নামেন তৃণমূল সাংসদেরা। পুলিশ তাঁদের বাইরে বেরোতে বাধা দিলে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। সংসদে ওই খবর আসতেই রাজ্যসভা ও লোকসভায় সরব হন তৃণমূলের সাংসদেরা। রাজ্যসভায় তৃণমূলের হট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। লোকসভাতেও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদেরা। অধিবেশন যাতে মুলতুবি হয়, তার জন্য অন্য বিরোধী সাংসদদেরও ওয়েলে নেমে আসতে অনুরোধ করেন তাঁরা। সেই সময়ে লোকসভায় ওবিসি কমিশন বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিল, তাই কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জ্জুন খড়্গের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ওয়েল থেকে সরে গিয়ে লোকসভা থেকেই ওয়াক আউট করে তৃণমূল। আগামিকাল সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সংসদের উভয় কক্ষে সাংসদদের নিরাপত্তার প্রশ্নে তাঁরা সরব হবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।