ফাঁকা আসন ভরাতে ঘুরপথে ভাড়া কমানোর অঙ্ক

এখন যেখানে কিছু ট্রেনে শেষ মুহূর্তের টিকিট কাটলে বাড়তি টাকা গুনতে হয়, ভবিষ্যতে সেগুলোয় উল্টে কম ভাড়ায় যেতে পারবেন যাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

—ফাইল চিত্র

যাত্রী হচ্ছে না। খালি থাকছে অসংখ্য আসন। এই অবস্থায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা শিকেয় তুলে উল্টে ফাঁকা যাওয়া রাজধানী-শতাব্দীর মতো ট্রেনে শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটলে সর্বাধিক পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে রেল। যার ফলে এখন যেখানে কিছু ট্রেনে শেষ মুহূর্তের টিকিট কাটলে বাড়তি টাকা গুনতে হয়, ভবিষ্যতে সেগুলোয় উল্টে কম ভাড়ায় যেতে পারবেন যাত্রীরা।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে বেশ কিছু প্রিমিয়াম ট্রেনে ঘুরপথে ভাড়া বাড়ায় ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ পদ্ধতির মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে কোনও একটি নির্দিষ্ট দিনের দশ শতাংশ টিকিট বিক্রি হলেই, বাকি টিকিটের দাম দশ শতাংশ হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল। এ ভাবে সর্বাধিক কোনও টিকিটের দাম পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে রেল। রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত মিলিয়ে প্রায় ১৪০টি প্রিমিয়াম ট্রেনে ওই পদ্ধতি চালু করে রেল। এতে রেলের ঘরে বাড়তি টাকা এলেও ওই সব ট্রেনের এসি প্রথম ও দ্বিতীয় টিয়ারের আসনের ভাড়া প্রায় বিমান ভাড়ার সমান হওয়ায় দ্রুত যাত্রী হারাতে শুরু করে রেল। সিএজি থেকে শুরু করে রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি— সকলেই নিজেদের রিপোর্টে যাত্রী কমার বিষয়টি উল্লেখ করে ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ পদ্ধতি বাতিল করার জন্য একাধিক বার সুপারিশ করে রেলকে।

সেই সুপারিশ সরাসরি না মানলেও প্রাথমিক ভাবে তাই ঠিক হয়েছে, টিকিটের চাহিদা রয়েছে এমন ৪০টি ট্রেনে আপাতত ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ চালু থাকবে। বাকি একশোটির কাছাকাছি ট্রেনে ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই ট্রেনগুলিতে ফাঁকা যাওয়া আসনে শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটলে বাড়তি ছাড়ও মিলবে। সে ক্ষেত্রে যাত্রার ন্যূনতম চার দিন আগে পর্যন্ত টিকিট কাটলে সর্বাধিক ত্রিশ-পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়ায় ছাড় পেতে পারেন যাত্রীরা। রেল মনে করছে, সে ক্ষেত্রে আসল ভাড়ার চেয়েও কম টাকায় সফর করতে পারবেন যাত্রীরা।

Advertisement

প্রশ্ন হল কবে থেকে দাম কমতে পারে টিকিটের? স্পষ্ট কোনও দিনক্ষণ জানায়নি রেল। তবে সূত্র বলছে, পুজো ও দীপাবলিতে পূর্ব ও উত্তর ভারতমুখী ট্রেনে টিকিটের চাহিদা বেশি থাকে। উৎসবের মরসুম কেটে গিয়ে স্কুল খুললেই এক ধাক্কায় টিকিটের চাহিদা পড়ে যায়। মন্ত্রকের একাংশের বক্তব্য, তাই যাত্রী টানতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে টিকিটের দাম কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। রেলকর্তারা সরাসরি এ নিয়ে মুখ না খুললেও শাসক শিবির মনে করছে, ভোটের আগে ট্রেনের টিকিটের দাম কমানোর বার্তা দিলে ভোটের বাক্সে ইতিবাচক ফায়দাও পাওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন