হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাই আলতাফ আহমেদ শাহ ওরফে আলতাফ ফান্টুশকে আরও দশ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির এক বিশেষ আদালত। কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর অভিযোগে গত ২৪ জুলাই ফান্টুশ-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, শুধু পাকিস্তানের নানা জায়গা থেকেই নয়, ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানোর জন্য দুবাই, লন্ডন থেকেও অর্থ আসত কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে। তবে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তদন্ত এখন মাঝ পথে। কোন কোন দেশ থেকে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য অর্থ ঢুকত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনই সবিস্তার কিছু বলা যাবে না।
আজ বিশেষ আদালত জানিয়েছে, ফান্টুশের সঙ্গেই এনআইএ-র হেফাজতে পাঠানো হবে এই মামলায় ধৃত পির সইফুল্লাহ, মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল এবং নইম খানকে। বাকি তিন অভিযুক্ত শাহিদ-উল-ইসলাম, ফারুক আহমেদ দার এবং মহম্মদ আকবরকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অনন্তনাগের বিজবেহারা এলাকায় গত কাল গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ইয়াওয়ার নামে এক হিজবুল জঙ্গির। উপত্যকায় পাথর ছোড়ায় দীর্ঘ দিন মদত দিয়ে এসেছে সে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরও।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার জন্য যাদের দিকে বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে, সেই পাকিস্তান অবশ্য আজ আবার জানিয়েছে, উপত্যকার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানই তারা চায়। সেই সঙ্গে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ভারতের দিকে আঙুলও তুলেছে তারা। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মতো কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ সমাধানে দায়বদ্ধ পাক সরকার।