Operation Sindoor

পাক হামলা রুখতে স্বর্ণমন্দির চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বন্দুক রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ, জানালেন সেনাকর্তা

পাক হামলা রুখতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বন্দুক রাখার অনুমতি পেয়েছিল সেনা। এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভারপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৫ ১৩:৫২
Share:

(বাঁ দিকে) অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পাক হামলা রুখতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বন্দুক রাখার অনুমতি পেয়েছিল সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভারপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহা। এই অনুমতি দেওয়ার জন্য স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সাক্ষাৎকারে ওই সেনাকর্তা জানান, রাতের আকাশে শত্রুপক্ষের ড্রোনকে নির্ভুল ভাবে চিহ্নিত করার জন্য ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম বার স্বর্ণমন্দিরের আলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা বুঝতে পারি যে ওরা এটিকে (স্বর্ণমন্দির) নিশানা করতে পারে। কারণ, সীমান্তে বৈধ আক্রমণ চালানোর মতো কোনও নিশানাই পাকিস্তানের নেই। তাই তারা আমাদের ধর্মীয় স্থান এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছিল।”

প্রসঙ্গত, ভারত-পাক অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত থেকে স্বর্ণমন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার। সেনার তরফে আগেই জানানো হয়, ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের আবহে গত ৭-৮ মে রাতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনা। সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, হামলা হতে পারে আশঙ্কায় আগে থেকেই ‘নিরাপত্তার ছাতায়’ ঢেকে ফেলা হয়েছিল স্বর্ণমন্দির। তাই সেখানে আঁচড় পর্যন্ত পড়েনি। সোমবার ডি’কুনহা বলেন, “স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থী আমাদের বন্দুক রাখার অনুমতি দেন। সম্ভবত বহু বছর পরে প্রথম বার স্বর্ণমন্দিরের সব আলো বন্ধ রাখা হয়। তাই আমরা ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করতে পারি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি ঘটে। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। গত ৭ মে মধ্যরাতে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রত্যাঘাতের এই অভিযানে বেছে বেছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়। এর পর পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানও। টানা চার দিন দুই দেশের মধ্যে এই সংঘাত চলেছে। পরে অবশ্য সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement