Supreme Court

দুই শিশুসন্তানকে খুন, হত্যা শাশুড়ি- শ্যালিকাকেও! ফাঁসির আসামির সাজা কমাল সুপ্রিম কোর্ট

২০১০ সালে নিজের ১০ ও সাড়ে তিন বছরের দুই শিশুসন্তানকে খুন করেছিলেন রমেশ। সঙ্গে খুন করেছিলেন শ্যালিকা ও শাশুড়িকেও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:৫৯
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নিজের দুই শিশুসন্তানকে খুন করেছিলেন যুবক। সঙ্গে খুন করেছিলেন শাশুড়ি এবং শ্যালিকাকেও। দোষীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল আদালত। সেই মামলাতেই এ বার আসামির সাজা কমাল শীর্ষ আদালত। তবে রমেশ অব্যাহতি পেলেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কারাগারেই কাটাতে হবে তাঁকে।

Advertisement

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির সাজা কমিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার একটি বেঞ্চ। ২০১০ সালে নিজের ১০ ও সাড়ে তিন বছরের দুই শিশুসন্তানকে খুন করেছিলেন রমেশ। সঙ্গে খুন করেছিলেন শ্যালিকা ও শাশুড়িকেও। অভিযোগ, শ্যালিকাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন রমেশ। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ভিন্ন জাতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শ্যালিকা। স্ত্রী ও শাশুড়িকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। এর পরেই শ্যালিকা ও শাশুড়িকে খুন করেন তিনি। সঙ্গে স্ত্রীকে ‘শিক্ষা’ দিতে খুন করেন দুই সন্তানকেও। তার পর দেহগুলি শহরের এক নির্জন জায়গায় একটি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।

দুই বিচারপতির যুক্তি, দোষী তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা এবং স্নেহ থেকেই শ্যালিকাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আশা করেননি যে তার জেরে এমন ঘটবে। যদি রমেশ নিজের স্ত্রীর পরামর্শ মেনে তাঁর পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতেন, তা হলে হয়তো তিনি সুখে জীবনযাপন করতে পারতেন! আদালতের পর্যবেক্ষণ, অপরাধটিকে ‘বিরলতম’ বলার সময় সব দিক খতিয়ে দেখেনি নিম্ন আদালত। আসামি এক খ্যাতনামা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্মী। অতীতে তাঁর কোনও অপরাধমূলক ইতিহাসও ছিল না। তবে বিচারপতিরা এও জানিয়েছেন, সাজা কমানো মানেই এই নয় যে অপরাধের গুরুত্ব কম বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এই মামলায় শুধুমাত্র শিশুহত্যার জন্য আসামির বিচার হয়েছে। শ্যালিকা এবং শাশুড়ির খুনের জন্য পৃথক মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত রমেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement