Bill for Removal of Jailed Ministers

বিতর্কিত তিন বিলের কাগজ ছিঁড়ে শাহের দিকে ছুড়ে মারলেন বিরোধীরা! লোকসভায় হট্টগোল

১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল বুধবার পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে পেশ হয়েছে আরও দু’টি বিল। সেই কাগজই ছিঁড়ে শাহের দিকে ছো়ড়েন বিরোধী সাংসদেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৩৯
Share:

লোকসভায় বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার। ছবি: এক্স।

লোকসভায় বুধবার মোট তিনটি বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তা নিয়ে হট্টগোলের মাঝে বিরোধী সাংসদেরা বিলের কাগজ ছিঁড়ে শাহের দিকে ছু়ড়ে মারলেন। ভিডিয়োতে সেই ছবি ধরা পড়েছে। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল বুধবার পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পেশ করা হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল। তিনটি বিলেরই বিরোধিতা করা হয়েছে। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী কিংবা কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রী যদি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে টানা ৩০ দিনের জন্য হেফাজতে থাকেন, তবে ৩১তম দিন থেকে তিনি মন্ত্রিত্ব হারাবেন। পাঁচ বছর বা তার বেশি জেল হতে পারে, এমন অপরাধগুলিকে ‘গুরুতর’ হিসাবে ধরা হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে তার মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাবে বিজেপি। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীদের এই আইনের মাধ্যমে বিপদে ফেলা হতে পারে। সেই কারণেই লোকসভায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।

বুধবার লোকসভায় যখন হট্টগোল চলছিল, উল্টো দিকের ওয়েলে দাঁড়িয়ে বিরোধী সাংসদেরা বিলের কাগজ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেন। তার পর যেখানে শাহ দাঁড়িয়ে ছিলেন, সে দিকে কাগজের টুকরোগুলি ছোড়েন। এই সময় শাহ বিল পড়ে শোনাচ্ছিলেন। কাগজ উড়ে এলেও তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। তবে স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের থামানোর চেষ্টা করেন। পরে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি।

Advertisement

লোকসভায় বিরোধীদের আচরণের নিন্দা করেছে কেন্দ্র। বিতর্ক এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘দেশের জনগণ আমাদের এখানে কাজ করতে পাঠিয়েছেন। বিরোধীরা কি শুধু হট্টগোল করতেই এখানে আসেন? গণতন্ত্রকে অপমান করলে মানুষ ক্ষমা করবে না। সাংসদদের জনগণের রায়কে অশ্রদ্ধা করা উচিত নয়। আলোচনা এবং বিতর্কের মাধ্যমে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement