গুলমার্গে পর্যটকদের ভিড়। ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপরে পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার জেরে কেঁপে উঠেছিল উপমহাদেশ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিল ভারতীয় সেনা। এ বার জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার গুলমার্গে ট্রেকিংয়ের উপরে বিধিনিষেধ জারি করল নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
শীতে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার স্কি রিসর্টে ভিড় হয় পর্যটকদের। স্কি-র পাশাপাশি চলে ট্রেকিংও। কিন্তু এ বার গুলমার্গের উচ্চ পার্বত্য ও জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর গোয়েন্দা সূত্রে পেয়েছে বাহিনী। তার পরে বারামুলা পুলিশের তরফে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জঙ্গি-দমন অভিযানের সময়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। স্থানীয়দের ওই এলাকায় নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভিন্ রাজ্যের পর্যটকদের আপাতত ওই এলাকায় যাওয়ার উপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বাহিনী সূত্রে খবর, গুলমার্গের উচ্চ এলাকায় নজরদারি ও এলাকা দখলে রাখার অভিযানের গতি তীব্র করা হয়েছে। কারণ শীতে ওই সব এলাকা অনেক সময়েই তুষারে ঢাকা থাকে। সেই সুযোগে সেখানে ঘাঁটি গাড়ে জঙ্গিরা। নিষেধাজ্ঞা কঠোর ভাবে মেনে চলতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অনুরোধ করেছে প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা একেবারেই নিরাপত্তার স্বার্থে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০২৪ সালে গুলমার্গেও জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেনা কনভয়ে সেই হামলার ফলে দুই সেনা-সহ চার জন নিহত হন।
সম্প্রতি টাংমার্গ এলাকার ডানওয়াস জঙ্গলে অনুমতি না নিয়েই ট্রেকিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। তার ফলেই আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিষেধাজ্ঞায় যে এলাকায় পর্যটকেরা যেতে পারবেন ও যে এলাকায় যেতে পারবেন না সেগুলি স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে গুলমার্গের নির্দিষ্ট এলাকায় পর্যটন ও সাধারণ কার্যকলাপ যথারীতি চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে