TRAI

ব্যাটারি শেষ ট্রাই প্রধানের! হাল ছেড়ে আলোচনার আহ্বান

সোমবার রাত এগারোটায় ট্যুইট করে নিজের মোবাইলে সমস্যার কথা জানান ট্রাই প্রধান রামসেবক শর্মা। লাগাতার মেসেজ আসায় তাঁর মোবাইলের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেন তিনি। একইসঙ্গে সবার কাছে রাখেন গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৮ ১৩:২১
Share:

আলোচনার আহ্বান ট্রাই প্রধানের

অবশেষে রণে ভঙ্গ দেওয়ার ইঙ্গিত। সোমবার রাতেই ট্যুইটার মেসেজ করে সবার উদ্দেশে আলোচনার আহ্বান জানালেন ট্রাই প্রধান রামসেবক শর্মা । একই সঙ্গে তাঁর মোবাইলের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সোমবার বিকেলে ইমেলে হুমকি দেওয়া হয় ট্রাই প্রধান আর এস শর্মার মেয়ে কবিতা শর্মাকে। হ্যাকাররা হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর বাবার ইমেল অ্যাকাউন্টের তথ্য জোগাড় করে ফেলা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টটিতেও তাঁরা কারসাজি করে ফেলবেন।

Advertisement

‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুরো দেশের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আর এস শর্মা। আমাদের উৎসাহিত করে নিজেকেই বিপদে ফেললেন উনি। বিপজ্জনক হয়ে গেল ওঁনার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টটি।’ ই মেলে কবিতাকে এই মর্মেই হুমকি দেয় হ্যাকাররা। পাশাপাশি, ওঁনার ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলিও প্রকাশ্যে আনার কথা জানায় তারা।

কিন্তু কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হাতাবেন হ্যাকাররা? হুমকি মেলে তাও জানিয়েছে তাঁরা। ট্রাই প্রধানের ব্যক্তিগত মোবাইলে একটি ‘রিমোট সফটওয়্যার’ লাগানোর কথা জানানো হয়েছে। সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাঁর সমস্ত কথাবার্তা রেকর্ড করা হবে, সমস্ত নথিও চলে আসবে হ্যাকারদের হাতের মুঠোয়। আর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে সমস্ত নথি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জের ফল: ট্রাই প্রধানের আধার নিয়ে ছেলেখেলা করে চলেছেন হ্যাকাররা

এরপর সোমবার রাত এগারোটায় ট্যুইট করে নিজের মোবাইলে সমস্যার কথা জানান ট্রাই প্রধান রামসেবক শর্মা। লাগাতার মেসেজ আসায় তাঁর মোবাইলের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেন তিনি। একইসঙ্গে সবার কাছে রাখেন গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান।

চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ। গত কয়েক দিন ধরেই ট্রাই প্রধানের সঙ্গে হ্যাকারদের এই লড়াই চলছিল। এর আগে শনিবার ট্রাই চেয়ারম্যান আর এস শর্মা নিজের টুইটার হ্যান্ডলে আধার নম্বর দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, ‘‘একটা প্রকৃত উদাহরণ দিয়ে দেখান, আধার নম্বরের মাধ্যমে কেউ আমার ক্ষতি করতে পারে।’’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হ্যাকাররা ট্রাই চেয়ারম্যানের জন্ম তারিখ, বাড়ির ঠিকানা, প্যান ও ভোটার নম্বর, মোবাইল নম্বর ও সার্ভিস প্রোভাইডার, ফোনের মডেল-সহ অন্তত ১৪টি তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেন।

আরও পড়ুন: শঙ্কা বুকে নিয়েই সুযোগ হাতড়াচ্ছেন অসমের ৪০ লক্ষ মানুষ

আপাতত সেই যুদ্ধে শান্তির পতাকা তুললেন ট্রাই প্রধান রামসেবক শর্মা। কিন্তু দেশের কোটি কোটি মানুষের আধার তথ্য সুরক্ষিত থাকল কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন